in

৫৪৯ রানের বিশ্ব রেকর্ডের ম্যাচে বেঙ্গালুরু হারল হায়দরাবাদের কাছে

রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর পেসার বিজয়কুমার ভৈশাখের ফুল লেংথের বলটি ওয়াইড লং অন দিয়ে চার মারলেন ট্রাভিস হেড। যতটা খুনে মেজাজে ব্যাট করছিলেন হেড, এরপর ঠিক ততটাই ঠান্ডা মেজাজে হেলমেট খুলে ব্যাটের হাতলের ওপর রেখে ক্রিস গেইলের ঢঙে করলেন সেঞ্চুরি উদ্‌যাপন।

তাঁর ৩৯ বলের এই সেঞ্চুরি আইপিএলের ইতিহাসে চতুর্থ দ্রুততম, সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে আইপিএলে দ্রুততম। ৮ ছক্কা ও ৯ চারে ৪১ বলে ১০২ রান করা হেড পরের ওভারে আউট হলেও বোঝা যাচ্ছিল আইপিএলের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দলীয় রানের রেকর্ডটি আজ ভেঙে যেতে পারে। শেষ পর্যন্ত ঘটলও সেটাই!

হেড আউট হওয়ার পর হাইনরিখ ক্লাসেনের ৩১ বলে ৬৭ এবং এইডেন মার্করাম (১৭ বলে ৩২) ও আবদুল সামাদের (১০ বলে ৩৭) দুটি অপরাজিত ‘ক্যামিও’ ইনিংসে ভর করে নিজেদের রেকর্ডই ভেঙে ফেলে সানরাইজার্স। এবার আইপিএলে গত ২৭ মার্চ মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের বিপক্ষে ৩ উইকেটে ২৭৭ রান তুলে টুর্নামেন্টটির ইতিহাসে সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহের রেকর্ড গড়েছিল সানরাইজার্স। নিজেদের গড়া সে রেকর্ড আজ নতুন করে লিখল প্যাট কামিন্সের দল।

৩ উইকেটে ২৮৭ রান—আইপিএলের ইতিহাসে দলীয় সর্বোচ্চ রানের নতুন রেকর্ড আজই গড়ল সানরাইজার্স। পর্বতসম এই রান তাড়া করতে নেমে ভালো শুরু পেয়েও পারেনি বেঙ্গালুরু। ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ২৬২ রান তুলে থেমেছে ফাফ ডু প্লেসির দল। ২৫ রানে জিতেছে সানরাইজার্স। এই জয়ে ৬ ম্যাচে মোট ৮ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের চারে উঠে এল সানরাইজার্স। ৭ ম্যাচে ২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তলানিতে বেঙ্গালুরু।

রেকর্ড গড়া সংগ্রহের পিছু ছুটতে নেমে প্রত্যাশিত শুরু পেয়েছিল বেঙ্গালুরু। ৬.২ ওভারে ওপেনিং জুটি ভাঙার আগে ৮০ রান তুলে ফেলে দলটি। ২০ বলে ৪২ রান করা বেঙ্গালুরু ওপেনার বিরাট কোহলি ‘ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার’ মায়াঙ্ক মারকান্দের বলে আউট হন। এরপর বেঙ্গালুরুর রানের গতি কমার পাশাপাশি ১০ ওভারের মধ্যে উইকেটও পড়েছে আরও চারটি। উইল জ্যাকস, রজত পাতিদার ও সৌরভ চৌহানরা রান পাননি। ৪ ছক্কা ও ৭ চারে ২৮ বলে ৬২ রান করা ডু প্লেসিও আউট হন। ষষ্ঠ উইকেটে মহীপাল লোমরোর ও দিনেশ কার্তিক ২৫ বলে ৫৯ রানের জুটি গড়ে চেষ্টা করেছিলেন। তবে তাতে শুধু হারের ব্যবধানই কমেছে। ১৫তম ওভারে এই জুটি ভাঙার পর ওই ওভার শেষে জয়ের জন্য শেষ ৩০ বলে ১০১ রানের ‘অসম্ভব’ লক্ষ্য ছিল বেঙ্গালুরুর সামনে। বাকিটা কার্তিকের একার লড়াই।

১৭তম ওভারে দুটি ছক্কা, ১৮তম ও ১৯তম ওভারে একটি করে ছক্কা মেরেছেন কার্তিক। নটরাজনের করা ১৯তম ওভারে চার-ছক্কাসহ একাই ১৪ রান তোলার পর পঞ্চম বলে আউট হন কার্তিক। ৭ ছক্কা ও ৫ চারে সাজানো তাঁর ৩৫ বলে ৮৩ রানের ইনিংসটি বেঙ্গালুরু সমর্থকেরা মনে রাখবেন অনেক দিন।

চার-ছক্কার বৃষ্টিতে মোট ৫৪৯ রানের এই ম্যাচও অনেক দিন মনে রাখবেন দর্শকেরা। আর এবারের আইপিএল এরই মধ্যে স্মরণীয় হয়ে গেল অন্য এক কারণে। আইপিএলের ইতিহাসে সর্বোচ্চ তিনটি দলীয় সংগ্রহ যে দেখা গেল এবারের মৌসুমেই!

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

GIPHY App Key not set. Please check settings