পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদ রবিবার শেহবাজ শরিফকে দ্বিতীয়বারের মতো দেশটির প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচন করেছে।
কারাবন্দী সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের মিত্ররা পার্লামেন্টে চিৎকার করে তার নিয়োগের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছে। তারা গত মাসের নির্বাচনের কারচুপির অভিযোগ আনেন।
স্পিকার আয়াজ সাদিক জানান, ২০১ ভোট পেয়ে শেহজাদ সুন্নি ইত্তেহাদ কাউন্সিলের ওমর আইয়ুবকে পরাজিত করেন, যিনি ৯২ ভোট পেয়েছেন। মাত্র ১৬৯ ভোটই শেহজাদকে সংখ্যাগরিষ্ঠতা দেওয়ার জন্য যথেষ্ট ছিল।

শেহজাদের সরকারের সামনে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। যার মধ্যে আছে জঙ্গি হামলা বেড়ে যাওয়ার মোকাবিলা করা, ভগ্নদশায় থাকা অর্থনীতিকে ঘুরে দাঁড়াতে সহায়তা করা, তালিবান নিয়ন্ত্রিত প্রতিবেশী দেশ আফগানিস্তানের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নয়ন, ভঙ্গুর অবকাঠামো মেরামত এবং বছরব্যাপী বিদ্যুৎ বিভ্রাটের সমাধান। এ ছাড়া, তাদেরকে একই সঙ্গে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতাও বজায় রাখতে হবে। ইমরান খানের দল কথিত ভোট কারচুপির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার করেছে।
পাকিস্তান তাদের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ অক্ষুণ্ণ রাখতে ও দেউলিয়া হওয়া থেকে বাঁচতে বেইলআউটের ওপর নির্ভর করছে। আইএমএফ, চীন ও সৌদি আরবের মতো ধনাঢ্য মিত্ররা দেশটিকে কোটি কোটি ডলার অর্থায়ন দিয়ে সহায়তা করে এসেছে। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তার আগের মেয়াদে শেহবাজ—যিনি ২০২২ এর এপ্রিলে অনাস্থা ভোটে ক্ষমতাচ্যুত ইমরান খানের স্থলাভিষিক্ত হয়েছিলেন—তাকে আইএমএফের কাছ থেকে ৩০০ কোটি ডলারের বেইলআউট পেতে দীর্ঘ কয়েক মাস বেগ পেতে হয়েছে।
শেহজাদ শরিফ জানিয়েছেন, তিনি মার্চের পর বর্তমান মেয়াদ শেষে আবার আইএমএফের কাছ থেকে নতুন বেইলআউট চাইবেন।
GIPHY App Key not set. Please check settings