নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি বলেছেন, বাংলাদেশের মানুষের আর্থিক সক্ষমতা বেড়েছে, মাথাপিছু আয় বেড়েছে। আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে কর্মসংস্থানের দিকে জোর দেওয়া হয়েছে। অবকাঠামোগত উন্নয়ন হয়েছে। এবার আমাদের দক্ষ জনগোষ্ঠী গড়ে তুলতে হবে।
শনিবার রংপুরে ‘রংপুর শিল্প ও বাণিজ্য মেলা ২০২৪’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
রংপুর চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মো. আকবর আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন রংপুর বিভাগীয় কমিশনার মো. হাবিবুর রহমান, পুলিশ কমিশনার মো. মনিরুজ্জামান, পুলিশ সুপার মো. ফেরদৌস আলী চৌধুরী, রংপুর চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি এর সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু হেনা মো. রেজওয়ানুল করিম, রংপুর জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মোছাদ্দেক হোসেন বাবুল, রংপুর মহানগর আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ডাক্তার মো. দেলোয়ার হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মো. আনোয়ারুল ইসলাম।

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, রংপুর অঞ্চলে একসময় মংগা ছিল, দারিদ্র্য ছিল। এই অঞ্চলের মানুষকে ‘মফিজ’ বলে তিরস্কার করা হতো। গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ দারিদ্র্যতাকে তুলে দিয়েছে। এ অঞ্চলে মঙ্গা নাই, দারিদ্র্য নাই।
মঙ্গা দেখতে হলে জাদুঘরে যেতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এসব উন্নয়ন করেছেন দেশরতœ শেখ হাসিনা। তিনি রংপুরকে বিভাগ করেছেন। রংপুর বিভাগের ধরলা নদী খনন হচ্ছে। ঘাঘট নদী খননের লক্ষ্যে আড়াই হাজার কোটি টাকার প্রকল্প একনেকে অনুমোদিত হয়েছে। ঘাঘট নদীর নৌপথকে পুনরুদ্ধার করে জীবন ও জীবিকায় কাজে লাগানো হবে।
তিনি আরও বলেন, রংপুর বিভাগের বুড়িমারী, হিলি, বাংলাবান্ধা, বিরল স্থলবন্দর চালু আছে। এগুলোতে ইমিগ্রেশন বন্ধ ছিল। আস্তে আস্তে ইমিগ্রেশন চালু হচ্ছে। পোর্টগুলোকে আপগ্রেডেশন করা হচ্ছে। ব্যবসায়ীদের জন্য আমদানি-রপ্তানির জন্য সুযোগ সুবিধা যাতে থাকে, পর্যটকদের যাওয়া আসা প্ল্যাটফর্ম থাকে, সেসব বিষয়ে অনেকগুলো প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এতে ব্যবসা-বাণিজ্যের সহায়ক হবে। উত্তরাঞ্চলে কল কারখানা তৈরি করা দরকার। এক সময় শুধু বড় সুগার মিল ছিল। জ্বালানি নিশ্চিত করার মধ্য দিয়ে এই অঞ্চলে আলোর প্রদীপ জ্বলা শুরু হয়েছে।
রংপুর চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি এ মেলার আয়োজন করেছে।
GIPHY App Key not set. Please check settings