গাজায় ইসরায়েলের হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ফ্রান্স। উপত্যকার রাফাহ শহরের একটি আবাসিক ভবনে ইসরাইলের বোমা হামলায় নিজেদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তাসহ প্রায় ১০ বেসামরিক নাগরিক নিহতের ঘটনায় এ নিন্দা জানিয়েছে দেশটি। সেই সঙ্গে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বানও জানিয়েছেন দেশটির কর্মকর্তারা।
রোববার (১৭ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে ফ্রান্সের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, একটি আবাসিক ভবনে ইসরায়েলের হামলার ঘটনায় ফ্রান্স তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে। যে হামলায় আরও ১০ জন বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছেন। ফ্রান্স আশা করে, বেসামরিক মানুষদের ওপর ইসরাইলের এমন হামলার ঘটনায় ফ্রান্সের মত সব পক্ষই তাদের নিন্দা জানাবে।
গত বুধবার ওই ভবনটিতে হামলা চালানো হয়। এতে ফ্রান্সের ওই কর্মকর্তাসহ আরও ১০ জন বেসামরিক মানুষ নিহত হন। ভবনটিতে ফ্রান্সের সরকারি কর্মকর্তাসহ অনেকেই পরিবারের সদস্যদের নিয়ে আশ্রয় নিয়েছিলেন। অথচ ওই এলাকাকে আগে থেকেই ‘সেফ জোন’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিল।
২০০২ সাল থেকে ফ্রান্স সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন প্রতিনিধি হয়ে গাজায় কাজ করছিলেন নিহত ওই কর্মকর্তা। তার পরিবারের সদস্যরা আগেই অনত্র সরে গিয়েছিলেন বলে বিবৃতিতে জানানো হয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এই বিবৃতি দেয়া হলো তখন যখন যুদ্ধবিরতি চুক্তি করতে ইসরাইলের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ বৃদ্ধি পাচ্ছে। চাপের মুখে এরই মধ্যে কাতারের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা শুরুর আগ্রহ প্রকাশ করেছে ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ।
এদিকে ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্যাথেরিন কলোনা বলেন, ফ্রান্স বিশ্বাস করে, গাজা ইসরাইল যুদ্ধে অবিলম্বে একটি চুক্তি হওয়া প্রয়োজন। এই চুক্তির মধ্য দিয়ে গাজা ইসরাইল যুদ্ধের একটি রাজনৈতিক সমাধান হবে। এই চুক্তির মধ্য দিয়ে স্থায়ী যুদ্ধবিরতির পথে অগ্রসর হওয়া সম্ভব হবে বলেও মত দেন কলোনা।
এর আগে এক যৌথ বিবৃতিতে গাজায় যুদ্ধবিরতির আহবান জানায় চীন, সৌদি আরব ও ইরান। এদিকে গাজায় ইসরাইলি হামলা অব্যাহত রয়েছে। এতে এখন পর্যন্ত ১৯ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। যার ৭০ শতাংশই নারী ও শিশু।
GIPHY App Key not set. Please check settings