লেবাননের বিপক্ষে ১-১ ব্যবধানের ড্র বাংলাদেশের কাছে যেন জয়ের সমান। এমন ড্র বিশ্বনাথ, ইসা ফয়সালরা দুই হাত মেলে আনন্দেই উদযাপন করলেন।
২০১১ বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ঢাকায় লেবাননকে ২-০ গোলে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। লেবাননের ফিফা র্যাংকিং তখন ১৫৯। বাংলাদেশের ১৪৭। ১২ বছর পর র্যাংকিংয়ে এখন বাংলাদেশের চেয়ে ৭৯ ধাপ এগিয়ে লেবানন। শক্তিতে তারাই এগিয়ে।
ফলে লেবাননের জয়ই ছিল এই ম্যাচে স্বাভাবিক প্রত্যাশা। কিন্তু আরেকটি বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ফেবারিট হয়েও বাংলাদেশকে হারাতে পারেনি মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি। পিছিয়ে পড়েও শেষ পর্যন্ত পয়েন্ট ভাগ করে মাথা উঁচু করেই মাঠ ছেড়েছে বাংলাদেশ।
এই ড্রয়ে ২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাইয়ে দুই ম্যাচে ১ পয়েন্ট পেয়েছে বাংলাদেশ। লেবানন আগের ম্যাচে ফিলিস্তিনের সঙ্গে ড্র করে। দুই ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ২। তবে ঢাকায় জয়ের আশা নিয়েই এসেছিল লেবানন। সেই জয় না পাওয়া তাদের কাছে হতাশাই।
ম্যাচের ৬৭ মিনিটে বদলি খেলোয়াড় রবিউল হাসানের ভুলে গোল হজম করে বাংলাদেশ। পেনাল্টি এরিয়া থেকে বল ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ হন মধ্যমাঠের এই ফুটবলার। হাসানের পা থেকে বল পান লেবাননের ফুটবলার মাজেদ ওসমান। ফাঁকা জালে শট দিয়ে দলকে এগিয়ে নেন তিনি।
পিছিয়ে পড়ে হাল ছাড়েনি লাল-সবুজের দল। ৭২ মিনিটে গোল করে বাংলাদেশকে সমতায় ফেরান শেখ মোরসালিন। ডান প্রান্ত দিয়ে আক্রমণে উঠে ডি বক্স থেকে শট নেন তিনি। তার শট ফেরাতে পারেননি প্রতিপক্ষ গোলরক্ষক।
ম্যাচের বাকি সময় দুদলই চেষ্টা করেছে গোল পেতে। কখনও ফিনিশিংয়ের অভাবে, গোলরক্ষকের কারণে গোল পায়নি কেউই। শেষ পর্যন্ত ১-১ সমতায় শেষ হয় ম্যাচ।
এর আগে প্রথমার্ধ্ব শেষ হয় গোলশূন্যভাবে। প্রথমার্ধ্বে গোল না পেলেও কোনো গোল হজম করেনি বাংলাদেশ। দুদলই মাঠে নামে ৪-৩-৩ পজিশনে। বলার মতো কোনো আক্রমণ করতে পারেনি কেউই। অধিকাংশ সময় বল ঘুরেছে মধ্যমাঠেই।
GIPHY App Key not set. Please check settings