ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাত ঘিরে ফ্রান্সে সম্প্রতি ইহুদিবিদ্বেষী কর্মকাণ্ড বেড়েছে। আর এর নিন্দা জানিয়ে রোববার দেশটিতে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছে। ফ্রান্সের পার্লামেন্ট সদস্যরা এ বিক্ষোভ ডাকেন। এতে এক লাখের বেশি মানুষ অংশ নেন।
ফ্রান্স কর্তৃপক্ষ বলছে, ৭ অক্টোবর ইসরায়েল-হামাস সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে ফ্রান্সে ইহুদিবিদ্বেষী ঘটনা আগের বছরের তুলনায় তিন গুণ বেড়েছে। এ অবস্থায় ফ্রান্সের পার্লামেন্টের দুই কক্ষের নেতারা ইহুদিবিদ্বেষী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে এ বিক্ষোভ ডাকেন।
ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী এলিজাবেথ বর্ন, সাবেক প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওলাঁদ ও নিকোলা সারকোজির মতো রাজনীতিবিদেরা বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেন। তাদের সামনে থাকা ব্যানারে লেখা ছিল, ‘প্রজাতন্ত্রের জন্য, ইহুদিবাদের বিরুদ্ধে’। বিক্ষোভ সমাবেশে ফ্রান্সের জাতীয় সংগীতও গাওয়া হয়।
পুলিশ জানায়, রোববারের বিক্ষোভে এক লাখের বেশি মানুষ অংশ নিয়েছিলেন।
বিক্ষোভে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁর উপস্থিত না থাকার সিদ্ধান্ত নিয়ে রাজনীতিবিদদের কেউ কেউ সমালোচনা করেছেন। ম্যাক্রোঁ বিক্ষোভে উপস্থিত না থাকলেও এক খোলাচিঠিতে তিনি বিক্ষোভের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন।
ইহুদিবিদ্বেষ বিরোধী ওই বিক্ষোভে কোন কোন দল অংশ নেবে, তা নিয়ে দ্বন্দ্ব দেখা দেয়। কট্টর ডানপন্থী দল ন্যাশনাল র্যালি বিক্ষোভে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলে বামপন্থী দল ফ্রান্স আনবৌড বিক্ষোভে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। তবে অন্য বামপন্থী দলগুলো উপস্থিত ছিল।
সম্প্রতি ফ্রান্সের পার্লামেন্টের বামপন্থী সদস্যদের ফিলিস্তিনের সমর্থনে বিক্ষোভ করতে দেখা গেছে। শনিবারও তারা প্যারিসে বিক্ষোভ করেছেন।
কয়েকদিন আগেই ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ গাজায় যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানান। এক সাক্ষাৎকারে তিনি গাজায় ইসরায়েলি বোমা হামলারও সমালোচনা করেছেন। ফ্রান্সের বামপন্থী রাজনীতিবিদেরা মাখোঁর এমন অবস্থানকে স্বাগত জানিয়েছেন।
রোববার ফ্রান্সের অন্য শহরগুলোতেও ইহুদিবিদ্বেষী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হয়েছে। ইউরোপের অন্য দেশগুলোতেও ইহুদিবিদ্বেষী কর্মকাণ্ড ও অন্যান্য চরমপন্থা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে।
GIPHY App Key not set. Please check settings