গেল শনিবার ইসরায়েলের মাটিতে এক আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি অস্ত্রধারী সংগঠন হামাস। এই হামলায় ইসরায়েলে সহস্রাধিক মানুষের প্রাণ হারিয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ইসরায়েলি সেনা, সাধারণ মানুষ এবং বিদেশিরাও আছেন।
এই হামলার প্রতিশোধ নিতে ইসরায়েল চড়াও হয় গাজা শহরের ওপর। এই শহরেই শক্ত ঘাঁটি রয়েছে হামাস যোদ্ধাদের। তাই বিমান হামলা করে শহরটিতে একের পর এক বোমা বোমা নিক্ষেপ করে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী।
বৃহস্পতিবার ইসরায়েলের সেনাবাহিনী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছে। বিবৃতিতে তারা জানিয়েছে, হামাসের হামলার পর গত কয়েক দিনে গাজা শহরের ওপর ৬ হাজার বোমা ফেলা হয়েছে। এই বোমাগুলোর সম্মিলিত ওজন প্রায় ৪ হাজার টন।
ইসরায়েলের তীব্র এই হামলার ফলও মারাত্মক। গত কয়েক দিনের বোমা বর্ষণে গাজায় প্রায় ১ হাজার ৪১৭ জনের প্রাণহানি ঘটেছে, যার অর্ধেকই নারী ও শিশু। এ ছাড়া নিহতদের বেশির ভাগই সাধারণ মানুষ।
গাজা অবরুদ্ধ করে এর পানি, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহ ব্যবস্থাও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এতে মানবেতর জীবন-যাপন করছে শহরটির বাসিন্দারা। হাসপাতালগুলোতে বিদ্যুৎ না থাকায় অসংখ্য রোগী বিনা চিকিৎসায় মারা যাচ্ছেন। বুধবার রাতে আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, শহরটির বিভিন্ন হাসপাতালে অন্তত ১০০ নবজাতক মৃত্যুর মুখে রয়েছে। কারণ তাদের জীবনের প্রতিটি ধাপের জন্য যেসব যন্ত্রপাতির দরকার সেগুলো বিদ্যুৎ চালিত।
সরবরাহ ব্যবস্থা বন্ধ ও অবিরাম বোমাবর্ষণের মাধ্যমে বিপুলসংখ্যক সাধারণ মানুষের প্রাণহানি ঘটিয়ে ইসরায়েল আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করছে বলে দাবি তুলেছে বিভিন্ন মহল। এই হামলার বিরুদ্ধে আমেরিকা সহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সমালোচনা হচ্ছে হামাসের হামলারও।
GIPHY App Key not set. Please check settings