in

যুদ্ধের ময়দান থেকে এফডিসির নায়ক

শুটিং সেটে নায়ক জসিম

দেশের দুর্দিনে অস্ত্রহাতে যোগ দিয়েছিলেন মহান মুক্তিযুদ্ধে। স্বাধীন দেশে বড়পর্দায় খলনায়ক হিসেবে যাত্রা হয়েছিল তার। এরপর নায়ক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে খুব বেশি সময় লাগেনি। সংলাপ ডেলিভারি ও অ্যাকশন দিয়ে অল্প দিনে পর্দায় শোষিত-বঞ্চিত মানুষের প্রতিনিধি হিসেবে নিজেকে গড়ে তোলেন। বলছি ঢালিউডের অ্যাকশনধর্মী চলচ্চিত্রের অন্যতম পথপ্রদর্শক কিংবদন্তি অভিনেতা জসীমের কথা। আজ তার ২৫তম মৃত্যুবার্ষিকী।

মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণজনিত রোগে ১৯৯৮ সালের ৮ অক্টোবর না-ফেরার দেশে পাড়ি জমান এই অভিনেতা ও মুক্তিযোদ্ধা।

১৯৫০ সালের ১৪ আগস্ট ঢাকার কেরানীগঞ্জের বক্সনগর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন জসীম। খলনায়ক হিসেবে অভিনয় শুরু করলেও জসীম জনপ্রিয়তা পান নায়ক হিসেবে। বড়পর্দায় তার অভিষেক হয় ১৯৭২ সালে ‘দেবর’ সিনেমার মাধ্যমে। জনপ্রিয়তা পান বলিউডের ‘শোলে’ সিনেমার রিমেক ‘দোস্ত দুশমন’-এ অভিনয়ের মাধ্যমে। এরপর একের পর এক সিনেমায় অভিনয় করে সিনেপ্রেমীদের মনে জায়গা করে নেন।

৩ শতাধিক সিনেমায় অভিনয় করেছেন জসীম। আশি ও নব্বইয়ের দশকের প্রায় সব জনপ্রিয় নায়িকার সঙ্গেই জুটি বেঁধেছেন। তবে শাবানা আর রোজিনার সঙ্গে তার জুটি দর্শকমহলে বেশি সমাদৃত ছিল।

জসীম অভিনীত উল্লেখযোগ্য সিনেমার মধ্যে রয়েছে তুফান, জবাব, নাগনাগিনী, বদলা, বারুদ, সুন্দরী, কসাই, লালু মাস্তান, নবাবজাদা, অভিযান, কালিয়া, বাংলার নায়ক, গরিবের ওস্তাদ, ভাইবোন, মেয়েরাও মানুষ, পরিবার, রাজা বাবু, বুকের ধন, স্বামী কেন আসামী, লাল গোলাপ, দাগী, টাইগার, হাবিলদার, ভালোবাসার ঘর প্রভৃতি।

জসীম ব্যক্তিজীবনে দুই বিয়ে করেছিলেন। তার প্রথম স্ত্রী ছিলেন নায়িকা সুচরিতা। পরে ঢাকার প্রথম সবাক সিনেমার নায়িকা পূর্ণিমা সেনগুপ্তার মেয়ে নাসরিনকে বিয়ে করেন তিনি। জসীমের এ ঘরে তিন পুত্রসন্তান রয়েছে। তারা সবাই সংগীতের সঙ্গে জড়িত। ‘ওন্ড’ নামে তাদের রক মেটাল ব্যান্ডদল রয়েছে।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

GIPHY App Key not set. Please check settings