শেষ পর্যন্ত সত্যিটা আড়ালে থাকল না। সামাজিক মাধ্যম থেকে শুরু করে সংবাদ মাধ্যমেও প্রকাশ হয়ে গেল, মালদ্বীপ থেকে ফেরার পথে বিমান বন্দরে মদের বোতল নিয়ে আটক হওয়ার কাণ্ডেই ফেঁসেছেন তপু বর্মণ, আনিসুর রহমান জিকোসহ পাঁচ ফুটবলার।
ঘটনা ২০ সেপ্টেম্বরের। এএফসি কাপে মাজিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ খেলে ফেরার পরদিন বিমান বন্দরে ৬৪ বোতলসহ কাস্টমস কর্মকর্তাদের হাতে আটক হোন বসুন্ধরা কিংসের পাঁচ ফুটবলার তপু বর্মণ, আনিসুর রহমান, শেখ মোরসালিন, রিমন হোসেন ও তৌহিদুল আলম সবুজ। আগের দিন ম্যাচে মাজিয়ার কাছে ৩-১ গোলে হেরেছিল বসুন্ধরা।
ঘটনা জানার পর ফুটবলারদের ছাড়িয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করতে হয়েছে ক্লাবকেই। ছাড়িয়ে নেওয়ার জন্য বসুন্ধরাকে ২০ লাখ টাকা জরিমানা গুণতে হয়েছে বলেই জানা গেছে। আগের দিন রাতে মাজিয়ার কাছে হারের পর ফুটবলারদের এমন কাণ্ডে বেশ বিব্রতই হতে হয়েছে বসুন্ধরা কিংসকে। কারণ দর্শাও নোটিশের সঙ্গে অর্নিদিষ্টকালের জন্য নিষেধাজ্ঞাও দেওয়া হয়েছে পাঁচ ফুটবলারকে।
ফুটবলারদের নিষেধাজ্ঞার সংখ্যাটা আরও বড় হতে পারত বলে জানা গেছে। পাঁচ ফুটবলার নয়, সংখ্যাটা হতে পারত ১১! ছয় ফুটবলার বিপদ টের পেয়ে মদের বোতল বিমান বন্দরেই রেখে এসেছেন। ফেঁসেছেন এই পাঁচ ফুটবলার। ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া ওডিশার বিপক্ষে ম্যাচের প্রস্তুতিতে রাখা হয়নি জিকো-তপুদের। এখন জাতীয় দল থেকেও বাদ পড়ার পথে এই ফুটবলাররা। কোচ না চাইলে নিষিদ্ধ ফুটবলারদের জাতীয় দলে খেলানো কঠিন বলে মন্তব্য বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনের, ‘মূলত এটা কোচের সিদ্ধান্ত। তবে আমার মনে হয় না তাদের দলে নেওয়া হবে। একটা ক্লাব যখন শৃঙ্খলাজনিত সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে, চিঠি দিয়ে ফেলেছে তখন কোচের জন্যও সেই খেলোয়াড়দের দলে রাখা কঠিন।’
খেলোয়াড়দের সঙ্গে ক্লাবের কোনো কর্মকর্তা শৃঙ্খলা ভেঙেছেন কিনা তা উদ্ঘাটনে তদন্ত কমিটি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাফুফে সহসভাপতি ও বসুন্ধরা কিংসের সভাপতি ইমরুল হাসান, ‘অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। প্রতিবেদন পাওয়ার পরই আমরা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেব।’
GIPHY App Key not set. Please check settings