in

বিশ্বকাপের অভিজ্ঞতায় সবচেয়ে এগিয়ে সাকিব-মুশফিক

সাকিব-মুশফিক

পরীক্ষা-নিরীক্ষা, প্রস্তুতি সব শেষ। এবার অপেক্ষা মূল মঞ্চের লড়াইয়ের। বিশ্বকাপের আগে ১০ দল নিজেদের ঝালিয়ে তো নিয়েছেই, সমর্থকেরাও প্রিয় দলের পরিসংখ্যান-সাফল্য নিয়ে ইতিমধ্যে ঝড় তোলা শুরু করেছে চায়ের কাপে। বিশ্বকাপ খেলার অভিজ্ঞতার কথা এলে সাকিব আল হাসানকে এগিয়ে রাখতে হবে সবার আগে। সাম্প্রতিক সময়ে তাঁকে নিয়ে যতই আলোচনা-সমালোচনা চলুক না কেন, বিশ্বকাপ খেলার অভিজ্ঞতায় অন্যদের চেয়ে এগিয়ে তিনি।

বর্তমানে বিশ্বকাপ খেলছেন এমন ক্রিকেটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ১১৪৬ রান সাকিবের। চতুর্থ সর্বোচ্চ উইকেটও তাঁর। বিশ্বকাপে হাজার রান ও ত্রিশোর্ধ্ব উইকেট নেই আর কারও। বাংলাদেশ অধিনায়ক আরেকটি জায়গাতেও সবার শীর্ষে। এ নিয়ে পঞ্চম ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলবেন সাকিব। এবারের বিশ্বকাপের বাকি ৯ দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে যেটি সর্বোচ্চ। অবশ্য সাকিবের সঙ্গে এই আসন ভাগাভাগি করছেন মুশফিকুর রহিম। তামিম ইকবাল স্কোয়াডে থাকলে তিনিও এই মাইলফলকে পা রাখতেন। ২০০৭ বিশ্বকাপ দিয়ে এই তিনজনের বিশ্বমঞ্চের লড়াইয়ে পদার্পণ। পূর্বে নিজেদের খেলা চার বিশ্বকাপে তিনজনই খেলেছেন সমান ২৯ ম্যাচ। বাংলাদেশের হয়ে বিশ্বকাপ খেলায় মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ দুইয়ে।

এ নিয়ে চতুর্থ বিশ্বকাপ খেলবেন তিনি। আর এই তিনজনেরই এটিই হতে যাচ্ছে শেষ বিশ্বকাপ। সে হিসেবে বাংলাদেশ দলেই সবচেয়ে বেশি অভিজ্ঞ খেলোয়াড়। স্কোয়াডে থাকা তাসকিন আহমেদ ও মেহেদী হাসান মিরাজও এর আগে দুটি বিশ্বকাপ খেলে ফেলেছেন, লিটন দাস ও মোস্তাফিজুর রহমান একটি। তবে বাংলাদেশ দলে নতুন মুখও কম নেই। এবারই প্রথম স্বপ্নের বিশ্বকাপ খেলার অভিজ্ঞতা হতে যাচ্ছে আটজনের—নাজমুল হোসেন শান্ত, নাসুম আহমেদ, হাসান মাহমুদ, শেখ মেহেদী হাসান, তাওহীদ হৃদয়, তানজিদ হাসান তামিম, তানজিম হাসান সাকিব ও শরীফুল ইসলাম।

বাংলাদেশের মতো বিশ্বকাপ খেলায় ভারতও ওপরের দিকেই থাকবে। ২০১১ সালে নিজেদের মাঠে ক্যারিয়ারের প্রথম বিশ্বকাপেই শিরোপার স্বাদ পেয়েছেন বিরাট কোহলি ও রবিচন্দ্রন অশ্বিন। ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মার সেই অভিজ্ঞতা হয়নি। এর আগের দুই বিশ্বকাপ খেলেছেন তিনি। কোহলি এ নিয়ে খেলবেন চতুর্থ বিশ্বকাপ, আর শেষ মুহূর্তে অক্ষর প্যাটেলের জায়গায় সুযোগ পাওয়া অশ্বিনের তৃতীয়। মোহাম্মদ শামি ও রবীন্দ্র জাদেজা খেলেছেন দুটি করে বিশ্বকাপ।

এশিয়ার বাকি দুই পরাশক্তি পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা এ জায়গায় এবার বেশ পিছিয়ে। পাকিস্তান দলে মাত্র একটি বিশ্বকাপ খেলার অভিজ্ঞতা আছে শুধু অধিনায়ক বাবর আজম, ফখর জামান, ইমাম-উল-হক, শাহীন শাহ আফ্রিদি ও হাসান আলীর। লঙ্কান দলে থাকা কুশল পেরেরা সর্বোচ্চ দুটি বিশ্বকাপ খেলেছেন। একটি করে খেলেছেন ধনঞ্জয়া ডি সিলভা, কুশল মেন্ডিস ও দিমুথ করুনারত্নে। আর ১২ বছর পর ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলতে আসা নেদারল্যান্ডস দলে একমাত্র বিশ্বকাপ খেলার অভিজ্ঞতা আছে ওয়েসলি বেরেসির।

এই তিন দলের মতো বেশ নতুন দল নিয়ে বিশ্বকাপে এসেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রোটিয়াদের হয়ে শুধু দুটি বিশ্বকাপ খেলার অভিজ্ঞতা আছে কুইন্টন ডি কক ও ডেভিড মিলারের। বিশ্বকাপ খেলার অভিজ্ঞতায় নিউজিল্যান্ডের কেন উইলিয়ামসন ও টিম সাউদিও বেশ এগিয়ে। চোটের অস্বস্তি থাকলেও অভিজ্ঞতা বিবেচনায় কিউইরা স্কোয়াডে রেখেছে তিনটি করে বিশ্বকাপ খেলা এই দুই তারকাকে। ব্ল্যাক ক্যাপদের হয়ে টম লাথাম, ট্রেন্ট বোল্ট, ম্যাট হেনরি—এই তিনজনই খেলবেন তৃতীয় বিশ্বকাপ। তিনটি বিশ্বকাপ খেলেছেন অস্ট্রেলিয়ার স্টিভেন স্মিথও। ডেভিড ওয়ার্নার, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, প্যাট কামিন্স ও মিচেল স্টার্ক খেলেছেন দুটি বিশ্বকাপ।

বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডের হয়ে দুই বিশ্বকাপ খেলার অভিজ্ঞতা আছে আদিল রশিদ, জস বাটলার, জো রুট, মঈন আলী ও ক্রিস ওকসের। এ পাঁচজনই গতবার পেয়েছেন বিশ্বকাপের স্বাদ।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

GIPHY App Key not set. Please check settings