in

ফ্রান্সের নতুন প্রধানমন্ত্রী হলেন ফ্রাঁসোয়া বাইরু

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ আজ শুক্রবার দেশটির মধ্যপন্থী নেতা ফ্রাঁসোয়া বাইরুকে দেশটির নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। ফ্রাঁসোয়াকে নিয়ে চলতি বছরেই চারজন প্রধানমন্ত্রী দেখল ফ্রান্স।

৭৩ বছর বয়সী ফ্রাঁসোয়া ফ্রান্সের ডেমোক্রেটিক পার্টির নেতা। তিনি প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁর ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে পরিচিত। ম্যাক্রোঁ ২০১৭ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে ফ্রাঁসোয়া বাইরুকে তার অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ হিসেবে দেখা হয়।

মধ্যপন্থী রাজনীতিবিদ বাইরু ফ্রান্সের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে বেশ প্রভাবশালী। তিনি নিজেকে ‘গ্রামাঞ্চলের মানুষ’ বলেও পরিচয় দেন। তবে এর আগে তিনি শিক্ষামন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। একসময় তিনি দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের পাউ শহরের মেয়রও ছিলেন।

গত সপ্তাহে ফ্রান্সের পার্লামেন্টে প্রধানমন্ত্রী মিশেল বার্নিয়ের বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোট অনুষ্ঠিত হয়। ভোটে ডানপন্থী জোটের এ নেতা হেরে যান। তাঁর সরকার টিকে ছিল মাত্র তিন মাস। ফ্রাঁসোয়ার ভাগ্যেও এমন কিছু ঘটুক, তা চান না মাখোঁ। বার্নিয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, দেশটির সামাজিক নিরাপত্তা বাজেট নিয়ে বিশেষ ক্ষমতা খাটিয়েছিলেন তিনি।

গত জুলাইয়ে আগাম নির্বাচনের ডাক দেওয়ার সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে ব্যাপক সমালোচনার মধ্যে আছেন মাখোঁ। দেশটির পার্লামেন্টের অচলাবস্থা এবং রাজনৈতিক সংকটের জন্য সমালোচনার মধ্যে আছেন তিনি।

গত জুনের আগাম নির্বাচনে কোনো দল একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। এরপর দেশটির পার্লামেন্ট তিন ভাগে ভাগ হয়ে যায়। বামপন্থীদের জোট আসনসংখ্যার দিক থেকে এগিয়ে গেলেও একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি।

ম্যাক্রোঁর নেতৃত্বাধীন মধ্যপন্থীদের জোট অনেক আসন হারালেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার মতো আসন পায়। আর অতি ডানপন্থী ন্যাশনাল র‍্যালি আগের চেয়ে বেশি আসন পায়। কিন্তু বাম ও মধ্যপন্থীদের কৌশলগত ভোটের কারণে তারা ক্ষমতায় যেতে পারেনি।

নতুন প্রধানমন্ত্রীর হিসেবে বাইরুর প্রধান কাজ হলো সরকার গঠন করে ২০২৫ সালের পূর্ণ বাজেট পাস করা।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

GIPHY App Key not set. Please check settings