in

বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে এফওসি বৈঠক ৯ ডিসেম্বর

বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের ফরেন অফিস কনসালটেশন (এফওসি) ৯ ডিসেম্বর ঢাকায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বৃহস্পতিবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ও পাবলিক ডিপ্লোম্যাসি উইংয়ের মহাপরিচালক মোহাম্মদ রফিকুল আলম মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের বলেন, ‘৯ ডিসেম্বর এফওসি অনুষ্ঠিত হবে এবং আমরা দু’দেশের মধ্যে প্রধান প্রধান দ্বিপক্ষীয় ইস্যুগুলো নিয়ে আলোচনা করব।’

বাণিজ্য, ভিসা সংযোগ, সীমান্ত হত্যা ও পানি বন্টনসহ নির্ধারিত মূল বিষয়গুলো এ উচ্চ-পর্যায়ের আলোচনায় প্রাধান্য পাবে।

তিনি আরও বলেন, সংলাপের প্রস্তুতির সমন্বয়ের জন্য ইতোমধ্যে একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গত ৫ আগস্ট বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে ভারতে অবস্থানরত ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণের বিষয়টি এজেন্ডায় অন্তর্ভুক্ত হবে কিনা জানতে চাইলে রফিকুল আলম পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আগের ব্রিফিংয়ের কথা উল্লেখ করেন।

২১ নভেম্বর মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে মহাপরিচালক তৌফিক হাসান বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে (শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ) আলোচনার সুযোগ রয়েছে।’
ছাত্র-নেতৃত্বাধীন জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের সময় গণহত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে শেখ হাসিনা বর্তমানে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারের সম্মুখীন হচ্ছেন।

বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পূর্ববর্তী সকল চুক্তি পর্যালোচনায় বিলম্বের বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে মুখপাত্র বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের অপারেশনাল চ্যালেঞ্জের কারণে এই বিলম্ব হচ্ছে। পরিস্থিতি স্থিতিশীল হলে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সমস্ত চুক্তি পর্যালোচনা এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সাথে সমন্বয় করে তা প্রকাশ করা হবে বলে তিনি আশ্বাস দেন।

বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব মো. জসিম উদ্দিন ও ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিসরি নিজ নিজ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন।

বুধবার পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উপর জোর দিয়েছেন।

তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘এটি খুবই স্পষ্ট যে, আমরা (ভারতের সঙ্গে) একটি ভালো সম্পর্ক চাই। তবে উভয় পক্ষরই তা চাওয়া ও এ লক্ষ্যে কাজ করা উচিত।’

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

GIPHY App Key not set. Please check settings