রাজধানীর লালবাগ থেকে ডাকাতির পর অপহৃত শিশুকে মোহাম্মদপুর থেকে উদ্ধার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। এ ঘটনায় জড়িত অপহরণকারীকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শনিবার সকালে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বার্তায় এ তথ্য জানিয়েছে র্যাব।
শুক্রবার ভাড়াটিয়ার আত্মীয় সেজে বেড়াতে এসে বাসায় ডাকাতি করে দুই দুর্বৃত্ত। ডাকাতির ঘটনায় জড়িত ছিল ওই বাসায় সাবলেটে থাকা এক তরুণী। ডাকাতি করে বাসার মালপত্রের সঙ্গে আট মাস বয়সী শিশুকেও নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।
জানা যায়, ডাকাতি হওয়া বাসার গৃহকর্ত্রী ফারজানা আখতার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগে কর্মরত।
ফারজানা ও তাঁর স্বামী ধানমণ্ডির আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালের কর্মী আবু জাফরের লালবাগের ১২/আই নম্বর বাড়ির নিচতলার একটি ফ্ল্যাটে বেশ কিছুদিন ধরে ভাড়া থাকেন। তাদের একটি কক্ষ খালি পড়ে থাকায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী পরিচয় দেওয়া এক তরুণীকে সাবলেট দেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার রাতে তিনি বাসায় ওঠেন। গতকাল শুক্রবার সকালে ফারজানাকে সাবলেটে থাকা তরুণী জানান, তার ভাই আসবেন।
সকাল ৯টার দিকে দরজায় কড়া নাড়লে ফারজানাই দরজা খুলে দেন। আর ওই সুযোগে দুজন বাসায় ঢুকে যান।
এ সময় ফারজানার স্বামীও বাসায় ছিলেন। দুই আগন্তুক বাসায় ঢুকেই ফারজানাকে ধাক্কা দিয়ে তার স্বামী যে কক্ষে রয়েছেন, সেটিতে ফেলে বাইরে থেকে দরজা আটকিয়ে দেন। তারপর ওই তরুণীসহ তারা তিনজন বাসা তছনছ করে তিন-চার ভরি স্বর্ণালংকার ও দেড় লাখ টাকা নিয়ে যান।
সঙ্গে নিয়ে যান ফারজানা দম্পতির আট মাস বয়সী শিশু জাইফাকে।
গতকাল দুপুরে ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনেক কর্মকর্তা ফারজানার বাসায় গিয়ে তাকে সান্ত্বনা জানান। পুলিশও যায় ওই বাসায়।
এক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে ডাকাতির পরিকল্পনার অংশ হিসেবেই ওই তরুণী বাসায় সাবলেটে ওঠেন। তিনি গৃহকর্ত্রীর কাছ থেকে কোথায় কী আছে তা কৌশলে জেনে নেন। কিন্তু শিশুকে কেন নিয়ে গেল সেই উত্তর পাওয়া যাচ্ছে না। ওই তরুণীকে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই আটক করতে পারবে বলে পুলিশ আশাবাদী।
GIPHY App Key not set. Please check settings