গত এক মাসের বেশি সময়ে বাংলাদেশের উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সংশয়টা ছিলই। শেষ পর্যন্ত সত্যি হলো সেটিই।
২০২৪ সালের নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ বাংলাদেশ থেকে সরিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে নেওয়া হয়েছে। গতকাল এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এটি জানিয়েছে আইসিসি।
আইসিসি জানিয়েছে, আরব আমিরাতে হলেও বাংলাদেশই থাকবে আনুষ্ঠানিক আয়োজক। খেলা হবে দুবাই ও শারজার দুটি ভেন্যুতে। আগের মতোই সূচিতে ৩ থেকে ২০ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে এ টুর্নামেন্ট। জানা গেছে, গতকাল আইসিসির ভার্চ্যুয়াল একটি বোর্ড সভায় নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ বাংলাদেশ থেকে সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
এ মাসের শুরুতে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর থেকেই বাংলাদেশে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিল নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। যদিও অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে আশার কথা শোনানো হয়েছিল।
তবে অস্ট্রেলিয়াসহ বেশ কয়েকটি দেশের নাগরিকদের বাংলাদেশে ভ্রমণের নিষেধাজ্ঞা থাকায় এটি সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আইসিসির প্রধান নির্বাহী জিওফ অ্যালারডাইস।
এক বিবৃতিতে অ্যালারডাইস বলেন, ‘বিসিবিতে কাজ করা সবাইকে আমি ধন্যবাদ জানাতে চাই বাংলাদেশে এ ইভেন্ট আয়োজনের সব চেষ্টা করার জন্য। তবে অংশগ্রহণকারী কয়েকটি দেশের সরকারের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার কারণে এটি কার্যকর করা হয়ে ওঠেনি। তবে আয়োজক স্বত্ত্ব তাদের কাছেই থাকবে। আমরা নিকট ভবিষ্যতে বাংলাদেশে আইসিসির বৈশ্বিক একটি ইভেন্ট আয়োজনে মুখিয়ে আছি।’
বাংলাদেশের বিকল্প হিসেবে গত কয়েক দিন একাধিক দেশের নাম শোনা যায়। ভারতের পক্ষ থেকে জানানো হয়, আইসিসি প্রস্তাব দিলেও তারা সেটি নাকচ করে দিয়েছে সীমাবদ্ধতার কারণে। আগ্রহী ছিল শ্রীলঙ্কা ও জিম্বাবুয়েও।
এ দুটি দেশকেও আলাদা করে ধন্যবাদ দিয়েছেন আইসিসির প্রধান নির্বাহী। পাশাপাশি বলেন, ‘আমি আমিরাত ক্রিকেট বোর্ডকেও বিসিবির পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানাতে চাই আয়োজক হিসেবে এগিয়ে আসার জন্য।’
এমনিতে আইসিসির সদর দপ্তর আরব আমিরাতেই অবস্থিত, যারা এর আগে ২০২১ সালে ওমানের সঙ্গে যৌথভাবে পুরুষদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপও আয়োজন করেছিল। অন্যদিকে এবারই প্রথম বাংলাদেশ থেকে আইসিসির কোনো ইভেন্ট সরিয়ে নেওয়া হলো। এর আগে ২০১৪ সালে পুরুষদের পাশাপাশি নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন করেছিল বাংলাদেশ। ২০১১ সালে ভারত ও শ্রীলঙ্কার সঙ্গে যৌথভাবে ওয়ানডে বিশ্বকাপেরও আয়োজক ছিল।
GIPHY App Key not set. Please check settings