স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করার প্রক্রিয়া চলছে। প্রক্রিয়াটি শেষ হলে যেকোনো সময় ঘোষণা দেয়া হবে।
বুধবার সন্ধ্যায় সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘মানুষের অনেকদিনের চাওয়া ছিল জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করা। এটার প্রক্রিয়া চলছে।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধে সুশীল সমাজ ও ১৪ দলের দাবি রয়েছে। সর্বশেষ যেসব ঘটনাগুলো ঘটেছে, এগুলোর সঙ্গে জামায়াত-শিবিরের যেসব সম্পর্ক রয়েছে সবকিছু মিলিয়েই তাদের নিষিদ্ধের সিদ্ধান্তটা আসছে।
জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধ হলে আবারও পরিস্থিতির অবনতি হবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জামায়াত-শিবির তো এ অবস্থা তৈরি করেই রেখেছে। বর্তমান পরিস্থিতি তৈরির পেছনেও তাদের যথেষ্ট যোগসাজশ রয়েছে। না হয় ছাত্রদের কোটা আন্দোলনের সবকিছু মেনে যাওয়ার পরও এই আন্দোলন থামছে না। এটা একটা সহিংসতায় রূপ নিয়েছে। ছাত্ররা কোনোদিন এরকম সহিংসতায় লিপ্ত হতো না যদি তাদের পরামর্শদাতারা এসব পরামর্শ না দিতো।
তিনি বলেন, তারা রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস করেছে। এতগুলো মানুষ হতাহত হয়েছে, সেটা কি কার গুলিতে হয়েছে। আপনারা খোঁজ নিয়ে দেখুন। আমরাও খোঁজ নিচ্ছি। প্রকাশ করব কার গুলিতে কতজন নিহত ও আহত হয়েছেন। সব কিছুই তো ছাত্ররা করেনি। তাদের পেছনে থেকে যারা করেছে তারা হচ্ছে, জামায়াত-শিবির, বিএনপি এবং বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠন এর সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়েছিল। এটাই আমাদের কাছে প্রতীয়মান হয়েছে। সেজন্যেই অনেকদিনের দাবি ছিল জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করার, সেই প্রক্রিয়াই চলছে। তাদের কার্যক্রম সম্পর্কে জনগনকে জানাতে হবে সেটারই ব্যবস্থা আমরা করছি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধির সঙ্গে আমাদের বৈঠক হয়েছে। তিনি জিজ্ঞাসা করেছেন যে আর কতদিনের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে। আমরা বলেছি-ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে। খুব শর্ট টাইমের মধ্যে সান্ধ্য আইন বা কারফিউ তুলে নিতে পারব। আর্মিও ব্যারাকে ফিরে যাবে।’
GIPHY App Key not set. Please check settings