ফিলিস্তিনের গাজায় স্থল, জল ও আকাশপথে ব্যাপক হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। উপত্যকাটির উত্তর থেকে দক্ষিণ—সর্বত্রই তছনছ হয়েছে ইসরায়েলের বোমা ও গুলির আঘাতে।
এরইমধ্যে গাজায় যুদ্ধবিরতির আলোচনা থেকে সরে এসেছে হামাস। এতে সেখানে শিগগিরই সংঘাত থামার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।
সোমবার উত্তরে গাজা নগরের তাল আল–হাওয়া, শেখ আজলিন, আল–সাবরা এলাকা এবং নুসেইরাত আশ্রয়শিবিরে নির্বিচার গোলাবর্ষণ করেছে ইসরায়েলি সেনারা। মধ্য গাজার আল–মুগারাকা এলাকাও ইসরায়েলের গোলা আঘাত হেনেছে।
এ অঞ্চলের আল–মাগাজি শিবিরে ইসরায়েলের বিমান হামলার পর তিন শিশুসহ পাঁচ ফিলিস্তিনির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে রেড ক্রিসেন্ট। এ ছাড়া দক্ষিণ গাজার খান ইউনিস ও রাফা এলাকায় সামরিক নৌযান ও হেলিকপ্টার থেকে হামলা চালানো হয়েছে।
ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, গাজার উপকূলীয় এলাকাগুলোয় তারা সামরিক তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। আর রাফা ও মধ্য গাজায় হামলা চালিয়ে তারা ‘বেশ কয়েকজন ফিলিস্তিনি যোদ্ধা’কে হত্যা করেছে। উপত্যকাটির বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে ইসরায়েলি নৌবাহিনী হামলা চালিয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে বিবৃতিতে।
ইসরায়েলের এ চলমান হামলায় গত ৭ অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত অন্তত ৩৮ হাজার ৬৬৪ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৮৯ হাজার ৯৭ জন। ইসরায়েলের হামলা শুরুর আগে ওই দিনই দেশটিতে ঢুকে ১ হাজার ১৯৫ জনকে হত্যা করেন হামাস সদস্যরা। জিম্মি করা হয় ২৫১ জনকে। তাঁদের মধ্যে ১১৬ জন এখনো হামাসের হাতে বন্দী।
জিম্মিদের মুক্ত করতে এবং গাজায় যুদ্ধবিরতির জন্য দফায় দফায় আলোচনায় বসছে ইসরায়েল ও হামাস। তবে আশার আলো দেখা যাচ্ছে না। এরই মধ্যে গতকাল রোববার হামাস জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতির চলমান আলোচনা থেকে সরে দাঁড়াচ্ছে তারা। হামাস নেতা মোহাম্মদ দাইফের হত্যাচেষ্টার সময় ৯২ ফিলিস্তিনি নিহত হওয়ার পর এ সিদ্ধান্ত নেয় সংগঠনটি।
এদিকে আজ যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা করে এক বিবৃতিতে হামাস বলে, আন্তর্জাতিকভাবে নিষিদ্ধ অস্ত্র ইসরায়েলের হাতে তুলে দেওয়ার মাধ্যমে জাতিগত নিধনে সমর্থন দিচ্ছে মার্কিন সরকার। ইসরায়েলের হামলায় ফিলিস্তিনের নারী ও শিশুদের যে রক্ত ঝরছে, তার প্রতি অবজ্ঞা দেখাচ্ছে দেশটি।
GIPHY App Key not set. Please check settings