ফ্রান্স বিডিডেস্ক
কেট মিডলটন, প্রিন্সেস অব ওয়েলস গত বছরের ডিসেম্বর থেকে লোকচক্ষুর আড়ালে রয়েছেন। আর তাতেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুঞ্জন ডালপালা মেলছে এই ব্রিটিশ রাজবধূকে নিয়ে। কেনসিংটন প্যালেসের কথা অনুযায়ী তিনি জানুয়ারিতে তার পেটের অস্ত্রোপচারের পর ধীরে ধীরে প্রাসাদে সেরে উঠছেন।
কিন্তু অনেক ইন্টারনেট ব্যাহারকারীর মতে তিনি ‘ইনডিসড কোমায়’ রয়েছেন। এসব জল্পনা কল্পনার মধ্যেই রাজপরিবারের কয়েকজন জ্যেষ্ঠ কর্মী দাবি করেছেন যে তারা মিডলটনের সার্জারি পরবর্তী অবস্থা সম্পর্কে তেমন কিছুই জানেন না। শুধু তাই নয়, তাকে নাকি কোথাও দেখা যাচ্ছে না, বা তার সঙ্গে কথাও হয়নি।
যুক্তরাষ্ট্রের সাপ্তাহিক ম্যাগাজিন ইউএস উইকলি জানিয়েছে, কেটের কয়েকজন দেখাশোনাকারী বেশ কিছু দিন থেকেই তাকে দেখেনি, কথাও বলেনি। এমনকি কেনসিংটনের ঘোষণা না দেয়া পর্যন্ত তারা সার্জারির বিষয়ে কিছুই জানতেন না।
নিউইর্য়ক পোস্ট বলছে, প্রাসাদ থেকে না বলা পর্যন্ত কেটের অস্ত্রোপচার নিয়ে তারা কেউ কিছু জানত না। শুধু কয়েকজন জানত। কিন্তু তাদের মুখে কুলুপ আঁটা। কেউ কিছু বলছে না বলে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে পড়ছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, কেট মিডলটনকে ‘গোপনীয়তার আবরণে’ ঢেকে রাখা হয়েছে। তার সঙ্গে শুধু দেখা করতে পারেন ক্যান্সারে আক্রান্ত রাজা তৃতীয় চার্লস ও তার স্ত্রী, রানী ক্যামিলা। তার অস্ত্রোপচার পরবর্তী অবস্থা নিয়ে প্যালেসের কারও মুখ খোলা বারণ।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, কেট মনে করেন এসব ভিত্তিহীন গুজব ছাড়াই তিনি সেরে উঠবেন। কেট বা তার স্বামী উইলিয়াম কেউই মনে করেন না যে তার মেডিকেল রেকর্ডগুলি জনসাধারণের কাছে প্রকাশ করাটা খুব জরুরি। কেট এ সমস্ত গুজবে কান না দেয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছেন এবং উইলিয়াম সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন কেটকে আগলে রাখার।
এদিকে, মা দিবসে সন্তানদের সঙ্গে কেটের একটি পারিবারিক ছবি শেয়ার করার পরে বিতর্কের সূচনা হয়। ওই ছবিতে কারচুপি করা হয়েছে দাবি করে কয়েকটি সংবাদ সংস্থা ছবিটি সরিয়ে নেয়। পরে ছবিটির জন্য ক্ষমা চান কেট।
GIPHY App Key not set. Please check settings