in

লেকে বর্জ্য ফেললে কলাগাছ থেরাপি দেওয়া হবে: মেয়র আতিক

ফ্রান্স বিডিডেস্ক

রাজধানীর গুলশান লেক পার্ক। দেখে বোঝার উপায় নেই, এটি অভিজাত কোনো এলাকা। জলাধারাটি গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের হাতে থাকলেও পরিচ্ছন্নতার দায়িত্ব নিল ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন। গণপূর্ত এগিয়ে না আসায় শনিবার স্থানীয়দের নিয়েই গুলশান লেকে পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালায় উত্তর সিটি করপোরেশন। 

এসময় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, আবাসিক ভবনে ইটিপি প্ল্যান্ট না করলে আবারও কলাগাছ থেরাপি চালানো হবে। এতে ওই বর্জ্য আবাসিক ভবনেই ফেরত যাবে। 

উত্তর সিটির সঙ্গে গুলশান লেক পরিষ্কারে হাত মিলিয়েছে গুলশান সোসাইটি। মেয়রের আশা, লেক পরিষ্কার রাখতে পারলে কমবে মশা। তিনি বলেন, ‘যেখানে পয়োবর্জ্যটা এসে পড়ে, সেখানে একটি প্ল্যান্ট আমি করে দিচ্ছি। জুন থেকে কাজটা শুরু হবে। এতে করে প্রত্যেকদিন ৩০ হাজার লিটার পানি পরিষ্কার হবে। আর এই পানি গাছগুলোতে ব্যবহার করা যাবে।’

শুধু গুলশান নয়, পর্যায়ক্রমে ঢাকা-১৭ আসনের সব জলাধার পরিষ্কার করা হবে বলে এসময় জানান তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। তিনি বলেন, ‘মাসের পর মাস, বছরের পর বছর এরকম হয়েছে। সবাই বলতো, কিন্তু উদ্যোগটা ছিল না। এখন যেটা হয়েছে, উদ্যোগটা হয়েছে। এবার রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে। এখান থেকে আমি একটা আইডিয়াও পেলাম। বারিধারা, ভাষানটেক, মানিকদী ও কড়াইলেও এভাবে পরিষ্কার করতে হবে।’  

এ সময় প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেন, ‘আমি মনে করি আমাদের এই লেক খুবই সুন্দর লেক। এগুলো যদি আমরা জীবিত করতে পারি, তাহলে অনেক কিছু করার সুযোগ আছে। এটা কিন্তু সম্ভব, এটা উদ্যোগের ব্যাপার।’ 

সালমান এফ রহমান বলেন, যেকোনো কাজেই সরকারের সঙ্গে নগরবাসী এগিয়ে এলে সফলতা আসবেই।
 
এই পরিচ্ছন্নতা অভিযানে গুলশান সোসাইটির পাঁচ স্কুলের শিক্ষার্থীসহ কয়েকটি সামাজিক সংগঠনের পাঁচ শ’র বেশি স্বেচ্ছাসেবক অংশ নিয়েছে।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

GIPHY App Key not set. Please check settings