কথায় আছে হাজার টাকার বাগান খায় ৫ সিকার ছাগলে। এই ৫ সিকার ছাগল চিনতে না পারলে বারবার বাংলাদেশের মানুষকে রক্ত দিতে হবে। এই ৫ সিকার ছাগল হচ্ছে আওয়ামী লীগ এবং ভারত। এই দুই শক্তিকে মোকাবিলা করতে না পারলে বাংলাদেশে শান্তি আসবে না বলে মন্তব্য করেছেন লেখক ও অ্যাক্টিভিস্ট পিনাকী ভট্টাচার্য।
শনিবার প্যারিসের একটি হোটেলের বলরুমে মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ফরোয়ার্ড’র (এইচআরএফ) উদ্যোগে ‘গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশ: প্রবাসীদের ভাবনা’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনারে প্রধান অতিথি পিনাকী ভট্টাচার্য আরও বলেন, বারবার প্রবাসী বাংলাদেশিদের পক্ষে থেকে দাবি জানানো হয়। কিন্তু হওয়ার কথা ছিল তারা বলবে এবং সেটি সরকার মেনে নেবে। আমাদেরকে এমন পরিস্থিতি তৈরি করতে হবে। আমি একটি উদ্যোগ নিয়েছি পুরো বিশ্ব থেকে প্রবাসীরা পাঁচ বিলিয়ন ডলার রাষ্ট্রকে দেবে। এটি হলে সরাসরি প্রবাসীরা রাষ্ট্র নির্মাণের কাজে চলে আসবেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এইচআরএফ সভাপতি মোহাম্মদ ফয়সাল আহমেদ। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন ফরাসি গণমাধ্যম ফ্রান্স টুয়েন্টিফোরের সাংবাদিক মোহাম্মদ আরিফ উল্লাহ। বাংলা টেলিগ্রাম সম্পাদক সাংবাদিক শাহ সুহেল আহমদের সঞ্চালনায় শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন সাংবাদিক অনুক্ত কামরু। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ থেকে আগত রাজনীতিবিদ নুরুল ইসলাম ভুঁইয়া (ছোটন), ফ্রান্স বিএনপির প্রধান উপদেষ্টা এহসানুল হক বুলু, সাধারণ সম্পাদক এম এ তাহের, সাবেক সভাপতি সিরাজুল ইসলাম মিয়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জুনেদ আহমেদ, কমিউনিটি নেতা টি এম রেজা।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধের উপর প্যানেল আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন সিনিয়র সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী মোহাম্মদ মাহবুব হোসাইন, বাংলাদেশ কমিউনিটি ইন ফ্রান্স (বিসিএফ)-এর প্রেসিডেন্ট এম ডি নূর, অ্যাক্টিভিস্ট ও রাজনীতিবিদ মোহাম্মদ আলী চৌধুরী, আইনজীবী ও অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট মনোয়ার হোসাইন, বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ফরাসি আইনজীবী আকাশ হেলাল, বাংলাদেশ কমিউনিটি ইন ফ্রান্স (বিসিএফ)-এর প্রেসিডেন্ট এম ডি নূর।
এছাড়া সেমিনারে অতিথি আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক শামীমা আক্তার রুবি, বিকশিত নারী সংঘের সভানেত্রী তৌফিকা শাহেদ, সাবেক সেনা কর্মকর্তা মীর জাহান, লিটল ম্যাগ স্রোতের সম্পাদক কবি বদরুজ্জামান, মানবাধিকার সংগঠন এফডিএইচআর ফ্রান্স- এর সভাপতি মোহাম্মদ আল আমিন, সিনিয়র সাংবাদিক কামরুজ্জামান কাজল।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ থেকে প্রবাসীদের পক্ষ থেকে চার দফা দাবি জানানো হয়। সেগুলো হলো, বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস ও মিশনগুলোর তত্ত্বাবধানে জাতীয় নির্বাচনে প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা, দ্বিতীয়ত ফ্রান্সসহ সবগুলো দূতাবাসে দ্রুত ই-পাসপোর্ট এবং জাতীয় পরিচয় পত্র তৈরির ব্যবস্থা করা, তৃতীয়ত দাবি হচ্ছে জাতীয় সংসদে প্রবাসীদের জন্য সংরক্ষিত আসনের ব্যবস্থা করা, চতুর্থত অনিয়মিত অভিবাসীদের লাশ সরকারি খরচে দেশে প্রেরণের ব্যবস্থা করা।
এছাড়া বক্তারা বলেন, এই প্রথমবারের মতো অভিবাসী বাংলাদেশিরা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে স্টেক হোল্ডারের ভূমিকায় এসেছেন। চার দফা দাবি আদায়ে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে জোরদার ভূমিকা পালন করতে হবে। এছাড়াও ৫ই আগস্টের বিপ্লবকে সার্থক করার জন্য প্রবাসে সকল বাংলাদেশিকে সজাগ থাকার আহ্বান জানানো হয়।
GIPHY App Key not set. Please check settings