ফ্রান্স বিডিডেস্ক
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে গ্যাসের সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনায় স্বামী মহিদুল ইসলামের (৩০) পর স্ত্রী নার্গিস খাতুনও (২৫) মারা গেছেন।
রোববার (১৭ মার্চ) সন্ধ্যায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট কর্তৃপক্ষ মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। এ নিয়ে বিস্ফোরণের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৬ জনে।
এরআগে, সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মহিদুল ও আরিফুল ইসলাম নামে আরও ২ জন মারা যান। আরিফুল গার্মেন্টস কর্মী ও মহিদুল কারখানায় কাজ করতেন।
নিহত মহিদুলের ভাগিনা মো. আকাশ জানান, তার মামি নার্গিস গার্মেন্টসে চাকরি করতেন আর তার স্বামী মহিদুল একটি গোডাউনে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। তাদের বাড়ি সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের বেড়াখোলা গ্রামে। তাদের সাজিদ নামে ৩ বছর বয়সী একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। বুধবারের ওই ঘটনায় স্বামী-স্ত্রী দুজনই দগ্ধ হয়েছিলেন।
এছাড়া শুক্রবার (১৫ মার্চ) সকালে সোলাইমান মোল্লা (৪৫) নামে একজনের মৃত্যু হয় এবং শনিবার (১৬ মার্চ) ভোরে মনসুর (৩২) এবং সন্ধ্যায় তায়েবা (৩) নামে দগ্ধ এক শিশু মারা যান। তারা সবাই শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট চিকিৎসাধীন ছিলেন।
গত বুধবার (১৩ মার্চ) সন্ধ্যায় কালিয়াকৈর উপজেলার তেলিচালা এলাকায় গ্যাস সিলিন্ডার লিকেজের আগুন থেকে দগ্ধ হয়ে নারী-শিশুসহ ৩৪ জন হাসপাতালে ভর্তি হন।
এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, তেলিরচালা টপস্টার কারখানার পাশে শফিকুল ইসলাম নামে এক ব্যবসায়ী শ্রমিক কলোনি তৈরি করে ভাড়া দিয়েছেন। তার বাড়িতে থাকা সিলিন্ডারের গ্যাস শেষ হয়ে গেলে পাশের দোকান থেকে তিনি নতুন গ্যাস সিলিন্ডার কিনে নিয়ে আসেন। বাড়িতে সেটি লাগানোর সময় সিলিন্ডারের চাবি খুলে গিয়ে পাশের চুলা থেকে আগুন ধরে যায়। তখন তিনি গ্যাস সিলিন্ডারটি ছুড়ে মারেন বাইরে। এ সময়ে বিস্ফোরণে আশপাশে থাকা শিশু, নারী ও পথচারীর শরীরে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এতে অন্তত ৩৪ জন দগ্ধ হন।
GIPHY App Key not set. Please check settings