কেবল রাজনৈতিক নিপীড়নের শিকার ব্যক্তিদেরই আশ্রয় দেবে ফ্রান্স। তুরস্কের বার্তা সংস্থা আনাদলু বলছে, সীমান্তে কড়াকড়ি আরোপ করে অনিয়মিত অভিবাসনপ্রত্যাশীদের ঠেকানোর ঘোষণা দিয়েছে ফ্রান্স।
গতকাল সোমবার ইউরোপের রেডিও স্টেশনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেরাল্ড দারমানিন বলেন, অভিবাসনপ্রত্যাশীর অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সীমান্তরক্ষার জন্য ফ্রান্স ইতালিকে সহযোগিতা করবে। যারা আগেই এসেছেন তাঁদের ক্ষেত্রে সাম্প্রতিক ইউরোপীয় নিয়ম প্রয়োগ করা হবে। এ নিয়ম অনুসারে, আশ্রয় প্রার্থীদের সীমান্তে আবেদন করতে হবে।
তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক নিপীড়নের শিকারসহ যারা অভিবাসনের জন্য উপযুক্ত তাঁদের স্বাগতম জানানো হবে। ইউরোপে প্রবেশ করলেই সব ইউরোপীয় দেশে ভাগ করে আশ্রয় দেওয়া হবে- এমন ভেবে থাকলে ভুল হবে।’
জেরাল্ড বলেন, ফ্রান্সে কোনো অবৈধ অভিবাসীকে আশ্রয় দেওয়া হবে না। ‘আমরা শুধু তাঁদেরই অনুমতি দেব যাদের একান্তই ইউরোপে থাকা প্রয়োজন, যেমন, রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থীদের। তবে যাদের ইউরোপে কোনো কাজ নেই তাঁদের ফেরত পাঠানো ছাড়া আর কোনো উপায় নেই।’
আজ ইতালি সফরে যাবেন জেরাল্ড দারমানিন। ইতালির ল্যাম্পেদুসা দ্বীপে গত এক সপ্তাহে আফ্রিকা থেকে মধ্য ভূমধ্যসাগরের অবৈধ পথে প্রায় ১১ হাজার অবৈধ অভিবাসী এসেছে। দ্বীপটিতে এখন ‘জটিল’ পরিস্থিতি বিরাজ করছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
ল্যাম্পেদুসা দ্বীপে সফরকালে গত রোববার ইউরোপীয় ইউনিয়ন কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন দের লিয়েন অভিবাসীদের ঢল প্রতিরোধ করার জন্য একটি ১০ ধাপ বিশিষ্ট অ্যাকশন প্ল্যানের ঘোষণা দেন।
এভাবে চলতে থাকলে এ বছর সমুদ্রপথে ইতালি যাওয়া অভিবাসীদের সংখ্যা নতুন রেকর্ড ছোঁবে। ২০২৩ সালের শুরু থেকে গত শুক্রবার পর্যন্ত ইতালিতে ১ লাখ ২৭ হাজার ২০৭ অভিবাসী অনুপ্রবেশ করেছে। যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় দ্বিগুণ। ২০১৬ সালে অভিবাসী অনুপ্রবেশের সংখ্যা ছিল সর্বোচ্চ, যা ছিল ১ লাখ ৮০ হাজার জন।
GIPHY App Key not set. Please check settings