প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, শিগগিরই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে। কারণ, সময় হয়ে গেছে। সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা অনুযায়ী আমাদের ২৯ জানুয়ারির আগেই নির্বাচন করতে হবে।
বৃহস্পতিবার বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, রাষ্ট্রপতিকে জানিয়েছি নির্বাচন অত্যাসন্ন। শেষ সময়টি রাষ্ট্রপতি জানেন। যেকোনো মূল্যে আমাদের ২৯ জানুয়ারির আগেই নির্বাচন করতে হবে। তবে এখনো পুরোপুরি সিদ্ধান্ত নিইনি। রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করে গেছি। এখন নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা করে সম্ভাব্য সময় নির্ধারণ করবো। আমরা বলেছি- দ্রুত তফসিল ঘোষণা করবো। কারণ, সময় হয়ে গেছে। চূড়ান্ত যখন করবো, তখন আপনাদের জানাবো।’
সিইসির নেতৃত্বে চার নির্বাচন কমিশনার বঙ্গভবনে যান। তাদের সঙ্গে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব মো. জাহাংগীর আলমও ছিলেন।
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, আমরা রাষ্ট্রপতিকে জানিয়েছি- আমাদের ওপর যে সাংবিধানিক দায়িত্ব আরোপিত হয়েছে, সে অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ে ও নির্ধারিত পদ্ধতিতে নির্বাচন করতে আমরা বদ্ধপরিকর। আমরা রাষ্ট্রপতিকে আশ্বস্ত করেছি যে, সবার সহযোগিতায় সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার আলোকে যথাসময়ে নির্বাচন করতে সমর্থ হবো।
তিনি বলেন, রাষ্ট্রপতিকে আসন্ন সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতির বিষয়ে অবহিত করেছি। তিনি সন্তুষ্ট হয়েছেন। রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেন যে, আসন্ন নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে।
সিইসি বলেন, অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন করতে সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। তিনি আশা করেন, নির্বাচন নিরপেক্ষ ও সুশৃঙ্খলভাবে হবে।
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, আমরা বলেছি- প্রয়োজনে রাষ্ট্রপতির সাহায্য কামনা করবো। তিনি সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থ যে কোনো ধরনের সহযোগিতা দেবেন বলে আমাদের আশ্বস্ত করেছেন। রাষ্ট্রপতি বলেছেন, গণতান্ত্রিক, সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা যে কোনো মূল্যে অব্যাহত রাখতে হবে।
সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সব রাজনৈতিক দল, সরকার ও জনগণের সহযোগিতা কামনা করছে নির্বাচন কমিশন।
বিরাজমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে তেমন আলোচনা হয়নি উল্লেখ করে সিইসি বলেন, আমরা শুধু আমাদের কথা বলেছি। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে যাতে নির্বাচন হয় সে ব্যাপারে সবার সহযোগিতা প্রত্যাশা করছি।
GIPHY App Key not set. Please check settings