in

রাজনীতি নিয়ে তামিমের প্রশ্নে আফ্রিদি যা বললেন

টিম হোটেলে শহীদ আফ্রিদির গন্তব্য ছিল মোহাম্মদ নবীর রুম। সেখানে যাওয়ার পথে দেখা তামিম ইকবালের সঙ্গে। এরপর নবীর রুমের আড্ডায় তামিম-আফ্রিদির সঙ্গে যোগ দিলেন শাহিন শাহ আফ্রিদিও।

যে আড্ডায় উঠল খেলার মাঠ থেকে শুরু করে রাজনীতির প্রসঙ্গও। তারই একপর্যায়ে তামিম আফ্রিদির কাছে জানতে চাইলেন রাজনীতিতে নামার ইচ্ছা আছে কি না। পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক জবাবে বললেন—তোমাদের অবস্থা যা দেখেছি, তাতে আর ইচ্ছা নেই।

বাংলাদেশের তামিম, পাকিস্তানের আফ্রিদি ও শাহিন আর আফগানিস্তানের নবীদের এই আড্ডা বিপিএল সূত্রে। বাংলাদেশের ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি লিগটিতে অংশ নিয়েছেন পাকিস্তান, আফগানিস্তানের বর্তমান ও সাবেক ক্রিকেটাররা। আড্ডার ভিডিওটি পোস্ট করা হয়েছে শহীদ আফ্রিদির ইউটিউব চ্যানেলে।

টিম হোটেলে আড্ডার ভিডিওতে দেখা যায়, প্রথম কথাবার্তা ছিল ক্রিকেট ঘিরেই। প্রথমবার ঢাকা প্রিমিয়ার খেলার স্মৃতিচারণা করেছেন আফ্রিদি। তামিমকে উদ্দেশ্য করে বলছিলেন, ‘১৯৯৭-৯৮ সালে প্রথম ঢাকা এসেছিলাম। যখন তোমাদের লিগ চলত।’

বাংলাদেশের লিস্ট এ ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় একসময় গ্যালারিভরা দর্শক ছিল, আফ্রিদি সেটা মনে করিয়ে দেন নবীকে। তামিম এই প্রসঙ্গে যোগ করেন—‘আপনি (নবী) যখন খেলেছেন, তখন তো দর্শক ছিল না। তারা যখন খেলেছে, তখন গ্যালারিভর্তি দর্শক ছিল।’

আড্ডায় এসেছে তামিমের অবসর প্রসঙ্গও। নিজের অবসর প্রসঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু না জানালেও এখানে আফ্রিদির প্রশ্নে তামিম জানান, দেশের হয়ে তিনি আর খেলবেন না। তামিমের অবসরের প্রসঙ্গটি এসেছে নবীর সূত্রে। ৪০ বছর বয়সী নবী ওয়ানডেতে আর কত দিন খেলা চালিয়ে যাবেন, এমন জিজ্ঞাসায় সাবেক আফগান অধিনায়ক জানান, চ্যাম্পিয়নস ট্রফির পর ওয়ানডে ছাড়বেন।

তামিম সর্বশেষ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেছেন ২০২৩ সালে সেপ্টেম্বরে। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে খেলেছিলেন তিনি। তাঁর সর্বশেষ টেস্ট একই বছরের এপ্রিলে, আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে। টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরের ঘোষণা দেওয়া তামিম সর্বশেষ ছোট সংস্করণের ক্রিকেটে খেলেছেন ২০২০ সালে, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে।

আড্ডার একপর্যায়ে হুট করেই তামিম আফ্রিদির কাছে রাজনীতিতে জড়ানোর ইচ্ছা আছে কি না, জিজ্ঞাসা করেন। আফ্রিদি হাসতে হাসতে বলেন, ‘তোমাদের অবস্থা যা দেখেছি, তাতে আর ইচ্ছা নেই।’ আফ্রিদির কথা শুনে সবাই হেসে দেন।

‘তোমাদের অবস্থা’ বলতে আফ্রিদি ঠিক কী বুঝিয়েছেন তিনিই ভালো জানেন। তবে বাংলাদেশের যারা আফ্রিদির সঙ্গে খেলেছেন, তাঁদের মধ্যে দুজন রাজনীতিতে নেমে এই মুহূর্তে দেশের ক্রিকেট থেকে দূরে।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সংসদ সদস্য ছিলেন বাংলাদেশ দলের দুই সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা ও সাকিব আল হাসান।

মাশরাফি এবারের বিপিএলে সিলেট স্ট্রাইকার্সে নাম লেখালেও দলটির কোনো কার্যক্রমে তাকে দেখা যাচ্ছে না। আর সাকিব রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর দেশেই ফিরতে পারেননি।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

GIPHY App Key not set. Please check settings