ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর থেকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কড়া নজরদারির ব্যবস্থা করা হয়েছে।
কয়েক স্তরের নিরাপত্তা বেষ্টনী পার করেই কাউকে বিদেশে যেতে হচ্ছে। সেই নিরাপত্তা বেষ্টনীর মুখে পড়েছিলেন চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি। সেখানে প্রায় দেড় ঘণ্টা অপেক্ষায় রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাঁকে। ফেসবুকে এক ভিডিও বার্তায় এমনটা নিজেই জানালেন মাহি।
মাহিয়া মাহি বলেন, ‘দুই একদিন আগে ব্যক্তিগত প্রয়োজনে একদিনের জন্য দেশের বাইরে গিয়েছিলাম। সেখানে একটা কাণ্ড ঘটে গেল। এক থেকে দেড় ঘণ্টা হবে, আমি জাস্ট বসেছিলাম। কারণ, কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত হতে চাইছিল আমার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ আছে কিনা। ডিজিএফআই, এনএসআইসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্ট ভালোভাবে চেক করার পরই ফ্লাই করতে পেরেছি।’
পুরো বিষয়টিকে ইতিবাচকভাবেই দেখছেন বলে জানিয়েছেন এই অভিনেত্রী। তিনি মনে করেন, দেশের সার্বিক অবস্থা বিবেচনায় কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা মন্দ কিছু নয়। মাহি বলেন, ‘আমার মনে হলো এয়ারপোর্টে যদি সব সময় এ রকম ব্যবস্থা থাকে তাহলে অনেক ভালো।’
অভিনেত্রী পরিচয়ের বাইরে মাহিয়া মাহি আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। দলটি থেকে মনোনয়ন না পেয়ে গত দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে লড়েছেন তিনি। তবে নির্বাচনে জয় পাননি তিনি।
এদিকে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে আতঙ্কে আছেন আওয়ামী লীগের সঙ্গে জড়িত দেশের শোবিজ তারকারা। অনেকই আছেন আত্মগোপনে। মামলা হয়েছে ফেরদৌস, জায়েদ খানসহ কয়েকজনের নামে।
GIPHY App Key not set. Please check settings