সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে গোল করে শুরুতে এগিয়ে যাওয়ার স্বস্তি মেলে বার্সেলোনা শিবিরে। রিয়াল মাদ্রিদও ম্যাচে ফিরতে সময় নিল না। দ্বিতীয়ার্ধে বার্সেলোনা আরেকবার এগিয়ে গেলে আবারও ম্যাচে ফিরে আসে লস ব্লাংকোরা। ম্যাচে ফিরে শেষ দিকে আরেকটি গোল করে ঘরের মাঠে ৩-২ গোলের দারুণ জয় তুলে নিল রিয়াল মাদ্রিদ।
এতে লিগ শিরোপা জয়ের পথে আরেক ধাপ এগিয়ে গেল রিয়াল মাদ্রিদ। শীর্ষে থাকা রিয়াল দুইয়ে থাকা বার্সার চেয়ে এগিয়ে গেল ১১ পয়েন্টে। ৩২ ম্যাচে রিয়ালের পয়েন্ট ৮১, বার্সেলোনার ৭০। শেষ ছয় ম্যাচে তিনটিতে জিতলেই চ্যাম্পিয়ন হবে রিয়াল।
প্রতিপক্ষের মাঠে শুরুতেই রিয়ালের ওপর চাপ ফেলে গোল আদায় করে নেয় বার্সেলোনা। ষষ্ঠ মিনিটে রাফিনিয়ার কর্নারে দূরের পোস্টে লাফিয়ে উঠে হেডে লক্ষ্যভেদ করেন আন্দ্রে ক্রিস্তেন্সেন। একটু পরেই ম্যাচে ফেরার সুবর্ণ সুযোগ নষ্ট করেন ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। অরিলিয়ে চুয়েমিনির তুলে দেওয়া বল লুকা মডরিচ মাথা দিয়ে ফ্লিকে বাড়ানো বলে শট নিলেও তা জাল খুঁজে পায়নি।
ম্যাচে ফিরতে অবশ্য খুব বেশি সময় নেয়নি রিয়াল। ১৮ মিনিটে নিজেদের বক্সে পাউ কুবারসি লুকাস ভাস্কুয়েজকে ফেলে দিলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। সফল স্পট কিকে দলকে ম্যাচে ফেরান ভিনিসিয়ুস। চলতি লিগে এটি তার ১৩তম গোল।
সমতায় থাকা ম্যাচে দুই দলই এরপর সুযোগ তৈরির চেষ্টায় ছিল।
বার্সেলোনা তো প্রায় গোল পেয়েই গিয়েছিল এই অর্ধে কিন্তু ভাগ্যসহায় হয়নি। কর্নার থেকে আসা বলে লামিন ইয়ামালের ব্যাক ফ্লিক কোনোমতে গোললাইনের ওপর থেকে ফেরান আন্দ্রি লুনিন। বার্সার খেলোয়াড়রা গোলের জন্য আবেদন করতে থাকেন। লা লিগায় গোললাইন টেকনেলোজি না থাকলেও ভিএআর পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর সিদ্ধান্ত দেয়, বল গোললাইন অতিক্রম করেনি।
দ্বিতীয়ার্ধে সমান তালে চলা ম্যাচে ৬৯ মিনিটে আবার এগিয়ে যায় বার্সেলোনা। ইয়ামালের বাকানো শট ফেরান তোরেস ডামি করলে লুনিন কোনোমতে তা ফেরালেও ক্লিয়ার করতে পারেননি। ফিরতি বল অনায়াসে জালে পাঠান ফাঁকায় থাকা ফেরমিন লোপেজ। পিছিয়ে পড়া রিয়াল তিন মিনিটের মধ্যে আবারও সমতা ফেরায়। বাম প্রান্ত থেকে ভিনিসিয়ুসের দারুণ ক্রস দূরের পোস্টে পেয়ে নিখুঁত ফিনিশিং করেন লুকাস ভাস্কুয়েজ।
শেষ দিকে বার্সেলোনার রক্ষণে একের পর এক হানা দিতে থাকে কার্লো আনচেলোত্তির শিষ্যরা। দারুণ সুযোগ পেয়েও রিয়ালের তিন ফুটবলার কাতালান বক্সে গোলমাল পাকিয়ে সুযোগ নষ্ট করে। তবে যোগ করা প্রথম মিনিটে আর কোনো ভুল করেননি জুড বেলিংহাম। ভাস্কুয়েজের নিচু করে নেওয়া পাস বক্সের অন্য প্রান্তে পেয়ে দারুণ ফিনিশিং করেন বেলিংহাম। তাতে জয় নিশ্চিত হয়ে যায় রিয়ালের।
GIPHY App Key not set. Please check settings