ফ্রান্সের জাতীয় নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপের ভোটের আগে দুই শতাধিক প্রার্থী নির্বাচনী লড়াই থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। কট্টর ডানপন্থী প্রার্থীদের জয় ঠেকাতে একজোট হয়ে তারা প্রার্থিতা প্রত্যাহার করছেন।
গত রোববার প্রথম দফার নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে কট্টর ডানপন্থী ন্যাশনাল র্যালি। আগামী রোববার দ্বিতীয় ধাপের ভোট। স্থানীয় সময় গতকাল মঙ্গলবার ছিল প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন।
ফরাসি সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, প্রথম দফা নির্বাচনে তৃতীয় হওয়া ২১৪ থেকে ২১৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন; অর্থাৎ দ্বিতীয় দফায় আর ৩০০ আসনে নয়, বরং ১০৮টি আসনে ত্রিমুখী লড়াই হবে।
প্রথম দফা মেরিন লে পেনের ন্যাশনাল র্যালি সর্বোচ্চ ৩৩ শতাংশ ভোট পেয়েছে। বামপন্থী জোট নিউ পপুলার ফ্রন্ট ২৮ শতাংশ ও প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁর মধ্যপন্থী জোট ২০ শতাংশ ভোট পেয়েছে।
এতে ধারণা করা হচ্ছিল, ৫৭৭ আসনের জাতীয় পরিষদে লো পেন নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে যাচ্ছেন। কিন্তু প্রতিপক্ষের প্রার্থীদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার কৌশলের কারণে সেই সম্ভাবনা এখন কম।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, প্রথম দফায় তৃতীয় হওয়া মধ্যপন্থী বা বামপন্থী প্রার্থীরা সরে দাঁড়ানোয় ন্যাশনাল র্যালির বিরোধী ভোটগুলো পাবেন একজন। এতে বিরোধীদের জয়ের বিষয়টিও সহজ হবে।
কট্টর ডানপন্থীরা সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার পর বামপন্থী নিউ পপুলার ফ্রন্ট থেকে প্রথম দফার ভোটে তৃতীয় হওয়া প্রার্থীদের সরে দাঁড়ানো নির্দেশ দেওয়া হয়, যাতে মধ্যপন্থীরা ডানপন্থীদের হারাতে পারেন।
তবে বিরোধীদের এ কৌশলের সমালোচনা করেছেন ন্যাশনাল র্যালির প্রেসিডেন্ট ও সম্ভাব্য প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী ২৮ বছর বয়সী জর্ডান বারডেলা। তিনি একে ‘অপকৌশলের জোট’ বলে বর্ণনা করেছেন।
অবশ্য বিশ্লেষকেরা বলছেন, এমন কৌশলের পরও ন্যাশনাল র্যালি সরকার গঠনে প্রয়োজনীয় ২৮৯ আসনে জয়ী হতে পারে। জরিপের পূর্বাভাস, এবার ২৫০ থেকে ৩০০টি আসন পেতে পারে দলটি।
GIPHY App Key not set. Please check settings