in ,

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রনের ঘোষণা: ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেবে ফ্রান্স

📅 প্রকাশিত: ২৪ জুলাই ২০২৫

✍️ অনলাইন ডেস্ক

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রন আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দিয়েছেন যে, তার দেশ ফিলিস্তিনকে একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেবে। এই স্বীকৃতি ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ঘোষিত হবে বলে জানানো হয়।

প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রন এই সিদ্ধান্তকে “একটি ইতিহাসঘটিত মুহূর্ত” হিসেবে বর্ণনা করেন এবং বলেন, “এই সিদ্ধান্ত দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের প্রতি আমাদের প্রতিশ্রুতির প্রকাশ, যা ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের জনগণের ন্যায্য ও স্থায়ী শান্তির পথে এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।”

ফ্রান্স দীর্ঘদিন ধরে দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের পক্ষে অবস্থান করে এলেও, এবারই প্রথম এই গুরুত্বপূর্ণ স্বীকৃতি প্রদানের জন্য সরাসরি তারিখ নির্ধারণ করলো। প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রনের ভাষায়, “শান্তি তখনই স্থায়ী হবে, যখন ফিলিস্তিনিরাও নিজেদের স্বাধীন রাষ্ট্রের মধ্যে আত্মপরিচয়ের অধিকার ফিরে পাবে।”

তিনি আরও বলেন, এই স্বীকৃতি হবে একটি “সমষ্টিগত কূটনৈতিক উদ্যোগের অংশ”, যার মাধ্যমে ফিলিস্তিনের বৈধতা আন্তর্জাতিকভাবে প্রতিষ্ঠা পাবে, এবং একইসঙ্গে ইসরায়েলকেও নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দেওয়া সম্ভব হবে।

ফ্রান্সের এই সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনজামিন নেতানিয়াহু। তিনি এক বিবৃতিতে বলেন, “এটি একটি ভুল পদক্ষেপ, যা হামাসের মতো সন্ত্রাসী সংগঠনকে পুরস্কৃত করার শামিল।” ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এটিকে “মধ্যপ্রাচ্যের শান্তিপ্রচেষ্টার জন্য হুমকি” বলে অভিহিত করেছে।

ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস ফ্রান্সের এই ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, “এটি আন্তর্জাতিক আইন ও ন্যায়বিচারের প্রতি শ্রদ্ধার প্রকাশ।” তিনি আশা প্রকাশ করেন, ফ্রান্সের এই পদক্ষেপ বিশ্বের অন্যান্য রাষ্ট্রগুলোকেও একই পথে অগ্রসর হতে অনুপ্রাণিত করবে।

এই ঘোষণার ফলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের আরও কিছু দেশ—যেমন স্পেন, আয়ারল্যান্ড, নরওয়ে ও বেলজিয়াম—যারা ইতোমধ্যে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে, তারা নতুন কূটনৈতিক শক্তি অর্জন করতে পারে। ব্রিটেন ও জার্মানির মতো বড় রাষ্ট্রগুলোতেও এ নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে।


এই স্বীকৃতি আন্তর্জাতিক কূটনীতির জগতে এক নতুন দিকচিহ্ন হতে পারে। সেপ্টেম্বর মাসে জাতিসংঘে এই স্বীকৃতির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা মধ্যপ্রাচ্য শান্তি আলোচনায় বড় ধরনের প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

GIPHY App Key not set. Please check settings