ইসরায়েলে ফিলিস্তিনিদের হামলার মুখে দেশ ছাড়তে মরিয়া হয়ে উঠেছেন দেশটির নাগরিকেরা। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বেন গুরিয়ান বিমানবন্দরে যাত্রীদের ঢল নেমেছে। টাইমস অব ইসরায়েলসহ দেশটির বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
টাইমস অব ইসরায়েল বলছে, আতঙ্কের মধ্যে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক কোম্পানি দেশটিতে ফ্লাইট স্থগিত করেছে। আমেরিকান বিভিন্ন বিমান কোম্পানিও ফ্লাইট বাতিল করেছে। এতে করে যাত্রীদের চাপ বেড়েছে। হাজার হাজার মানুষ দেশ ছাড়ার জন্য ভিড় করছেন।
গ্লোবসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বর্তমানে বেন গুরিয়ান বিমানবন্দরের টার্মিনাল-১ বন্ধ রয়েছে। বিমানবন্দরের ৩ নম্বর টার্মিনাল দিয়ে অপারেশন পরিচালনা করা হচ্ছে। একদিনে এ বিমানবন্দর দিয়ে অন্তত ৬০ হাজার ইসরায়েলি দেশত্যাগ করেছেন।
এদিকে এএফপির এক প্রতিদবেদনে বলা হয়েছে, জার্মানির বিমান পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান লুফথানসা, আমিরাতভিত্তিক প্রতিষ্ঠান এমিরেটস ও গ্রিক কোম্পানি এজিন এয়ার লাইনসও দেশটিতে তাদের ফ্লাইট বাতিল করেছে। একই পদক্ষেপ নিয়েছে ফরাসি, ইতালি, স্প্যানিশ ও পোলান্ডের বিমান পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান।
মিডল ইস্ট মনিটর জানিয়েছে, তেল আবিবে ইউরোপিয়ান অ্যাম্বাসিগুলোতে ইসরায়েলি নাগরিকদের দীর্ঘ লাইন দেখা যাচ্ছে। পশ্চিমা পর্যটনবিষয়ক অফিসগুলোর দেওয়া তথ্যমতে, সম্প্রতি ইসরায়েলি পাসপোর্টের পাশাপাশি অন্যান্য পশ্চিমা দেশের পাসপোর্ট নেওয়ার আগ্রহ বেড়ে গেছে।
পর্তুগিজ ইমিগ্রেশন সার্ভিস জানিয়েছে, বছরের শুরুতে সম্প্রতি ২১ হাজার ইসরায়েলি দেশটির নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করেছেন। নতুন সরকার ক্ষমতায় আসার পর ইমিগ্রেশন কার্যালয়গুলো এখন হাজারো ইসরায়েলির নিত্যকার গন্তব্যে পরিণত হয়েছে। ফ্রেঞ্চ, পর্তুগিজ, জার্মান এবং পোলিশ অ্যাম্বাসিতে আবেদনের সংখ্যা ১০ শতাংশ বেড়েছে। যেটা এর আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি।
GIPHY App Key not set. Please check settings