আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি হলো দুর্নীতি ও লুটপাটের শিরোমণি। দুর্নীতিবাজদের তালিকা করলে বিএনপি নেতাদের নাম সবার আগে আসবে।
শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
সাবেক সেনা প্রধান আজিজ আহমেদ ও সাবেক পুলিশ প্রধান বেনজির আহমেদের মতো যারা দুর্নীতি করেছেন বিএনপি তাদের তালিকা করবে, এটি তারা করতে পারে কি না? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, লিস্ট করলে তো প্রথমে বিএনপি নেতাদের নাম লিখতে হবে। কারণ দুর্নীতি-লুটপাটের শিরোমণি তারা। বিএনপি নেতাদের নাম আগে আসবে। তারপরে অন্যদের নাম লিস্টে দিতে হবে।
‘আজিজ-বেনজিরের দায় আওয়ামী লীগ এড়াতে পারে না’ বিএনপির এমন দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপির গঠনতন্ত্র পড়েছেন? মির্জা ফখরুল কত বছর থাকতে পারেন? আগামী বছর, এই ডিসেম্বরের পরের ডিসেম্বরে আমার শেষ। সম্মেলন হবে যথাসময়ে। মির্জা ফখরুল কত বছর ধরে তার গঠনতন্ত্রকে লঙ্ঘন করে বিএনপির মহাসচিব? একটা দল, তারা নিজেদের ঘরেই গণতন্ত্রের চর্চা করে না। তারা দেশে গণতন্ত্র কীভাবে প্রতিষ্ঠা করবে?
ওবায়দুল কাদের বলেন, পৃথিবীর কোনো দেশেই গণতন্ত্র পারফেক্ট নয়। আমাদের পারফেক্ট করার পথে চেষ্টা আছে। আমাদের প্রধানমন্ত্রী এ ব্যাপারে আন্তরিক।
তিনি বলেন, আজকে বিএনপি যারা বহুদলীয় গণতন্ত্রের কথা বলে তাদের গণতন্ত্র ছিল কারফিউ গণতন্ত্র। ১৫ই ফেব্রুয়ারি হ্যাঁ/না ভোট। যেখানে হ্যাঁ ভোট ১১৪ শতাংশ। ১ কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার। গণতন্ত্রকে তারা ধ্বংসের কিনারায় নিয়ে গিয়েছিল। নির্বাচন ব্যবস্থাকে প্রহসন ও তামাশায় পরিণত করেছিল। তাদের মুখে গণতন্ত্রের বুলি ভূতের মুখে রাম নাম।
দুর্নীতিবাজ তারেক রহমান ও খালেদা জিয়াকে দেশের জনপ্রিয় নেতা দাবি করা বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি আমলে হাওয়া ভবন ছিল দুর্নীতি আর লুটপাটের ভবন। এখন তারা দুর্নীতি নিয়ে কথা বলে। বিএনপি আমলে দুর্নীতি করা দলের কাউকে কি কোনো শাস্তি দিয়েছে তারা? প্রশাসনের কাউকে শাস্তি দিয়েছে? আওয়ামী লীগ সরকার দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে। তদন্ত হচ্ছে। সরকার বিএনপি’র মতো ইমিউনিটি কালচার গড়ে তোলেনি।
দেশের অর্থনীতির ধ্বংস করছে আওয়ামী লীগ সরকার বিএনপি’র এমন দাবি প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, সারা বিশ্বে অর্থনীতির খারাপ অবস্থা। দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দেশে দুর্নীতি, বেকারত্ব, মুদ্রাস্ফীতির বেসামাল অবস্থা। বাংলাদেশ সেখানে অনেক প্রতিকূলতার মধ্যেও সামাল দিয়ে যাচ্ছে, ভারসাম্য রক্ষা করছে। দেশের অর্থনীতি যদি ধ্বংস হবে তাহলে আই এম এফ, বিশ্ব ব্যাংক কিভাবে বাংলাদেশকে সম্ভাবনার দেশ হিসেবে সাপোর্ট করছে? সেটা মির্জা ফখরুলদের স্মরণ করে দিতে চাই।
সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম ও আফজাল হোসেন, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, শিক্ষা ও মানবসম্পদ সম্পাদক শামসুন্নাহার চাপা, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ডা. দিলীপ রায় প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
GIPHY App Key not set. Please check settings