ইপিএসের আওতাধীন ভিসার কোটা নির্ধারণ করে দক্ষিণ কোরিয়া ২০২৪ সালে রেকর্ডসংখ্যক ভিসা বাড়ানোর পরিকল্পনা নিয়েছে।
দেশটিতে আরও কর্মী প্রয়োজন—কোম্পানির মালিকদের এমন আহ্বান জানানোর পরিপ্রেক্ষিতে দেশটির সরকার এ পদক্ষেপ নিয়েছে।
এরই অংশ হিসেবে ইপিএসের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি নতুন ১ লাখ ৬৫ হাজার কর্মী নেবে দক্ষিণ কোরিয়া। ইপিএস হলো এমপ্লয়মেন্ট পারমিট সিস্টেম। বিদেশি শ্রমিক নিয়োগের প্রক্রিয়া।
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ে গেল ২১ নভেম্বর অনুষ্ঠিত ইপিএসের আওতায় ১৬টি দেশের শ্রমিকদের জন্য অভিবাসী শ্রমনীতি নির্ধারণ কমিটির বৈঠকে ২০২৪ সালের অভিবাসী শ্রমিকের সংখ্যা নির্ধারণ করা হয়।
নির্ধারিত ১ লাখ ৬৫ হাজার অভিবাসী শ্রমিকের মধ্যে ১ লাখ ৪৩ হাজার ৫৩০ জন নতুন কর্মী। অন্য ২১ হাজার ৪৬০ জন কমিটেড কর্মী।
এর মধে উৎপাদন শিল্পে ৯৫ হাজার, কৃষিতে ১৬ হাজার, নির্মাণ শিল্পে ৬ হাজার, মৎস্য খাতে ১০ হাজার, জাহাজশিল্পে ৫ হাজার, সেবা খাতে ১৩ হাজার এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী ২০ হাজারসহ সর্বমোট ১ লাখ ৬৫ হাজার কর্মী নিয়োগ করা হবে নতুন বছরে।
বিগত বছরগুলোয় ইপিএস কর্মীরা ম্যানুফ্যাকচারিং খাতে চাকরি করলেও এবারের এই নীতিনির্ধারণী বৈঠকে ইপিএস কর্মীরা নতুন নতুন খাতে চাকরি করার জন্য সম্ভাবনার দ্বার উন্মুক্ত হয়েছে।
ইপিএস কর্মীরা দক্ষিণ কোরিয়ায় যেসব নতুন অন্তর্ভুক্ত খাতে চাকরি করতে পারবেন, তার মধ্যে রেস্তোরাঁ, কফি শপ, কনস্ট্রাকশন সেক্টর, সেবা খাতসহ বিভিন্ন ধরনের লজিস্টিক সাপোর্ট খাত উল্লেখযোগ্য।
দেশটির শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, ই-৯ ভিসার মাধ্যমে দক্ষিণ কোরিয়ায় অভিবাসী শ্রমিকদের কোটা প্রতিবছর বৃদ্ধি করা হচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় ২০২১ সালে ৫২ হাজার, ২০২২ সালে ৬৯ হাজার এবং সর্বশেষ ২০২৩ সালে ১ লাখ ২০ হাজার কর্মী যান দক্ষিণ কোরিয়ায়।
GIPHY App Key not set. Please check settings