ফ্রান্সে নির্বাচনী বাজিতে এমানুয়েল মাক্রোঁ ব্যর্থ হওয়ার পর জোট সরকার গঠন করা নিয়ে সৃষ্ট বিবাদে জড়িয়ে পড়েছেন প্রেসিডেন্টের দুই মিত্র। তার আপাত উত্তরাধিকার হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করতে চাইছেন তারা।
প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ গত ৯ জুন দেশে আগাম নির্বাচনের ঘোষণা দেন। দুই দফায় ভোটগ্রহণের পর দেখা যায়, ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে নিজেদের প্রতিনিধিত্বের এক-তৃতীয়াংশের বেশি হারিয়েছে তার দল। নির্বাচনে বামপন্থী জোট নিউ পপুলার ফ্রন্ট (এনএফপি) জয়ী হলেও তারা প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি।
এ অবস্থায় ম্যাক্রোঁর শিবিরে যেটুকু আশা অবশিষ্ট আছে, তা নিয়ে নিজেদের মধ্যে লড়াই শুরু করেছেন বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী গ্যাব্রিয়েল আতাল ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেরাল্ড ডারমানিন। দুজনেরই আশা, তারা নিজেদের পছন্দের দলগুলো নিয়ে জোট সরকার গঠন করতে সক্ষম হবেন।
ডারমানিন বিদায়ী মন্ত্রিসভার গুটিকয় সদস্যের একজন, যিনি প্রেসিডেন্ট মাখোঁর নতুন নির্বাচন আহ্বানের সিদ্ধান্ত সমর্থন করেন। মাখোঁর সিদ্ধান্তকে ‘সাহসী’ আখ্যা দিয়ে তাঁর ভূয়সী প্রশংসা করেন তিনি।
গৃহবিবাদ নিয়ে মুখ খুলেছেন প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ। গত বুধবার প্রকাশিত একটি চিঠিতে রিপাবলিকান ইনস্টিটিউশন, আইনের শাসন, সংসদীয় গণতন্ত্র, ইউরোপীয় দর্শন ও ফ্রান্সের স্বাধীনতা রক্ষার ধারক–বাহক সব রাজনৈতিক দলের প্রতি সরকার গঠনে প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনে আন্তরিক সংলাপে বসার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
ইতোমধ্যে নির্বাচনে জেতা বামপন্থী নিউ পপুলার ফ্রন্ট সরকার গঠনের জন্য তাদের ডাকতে প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে; যেখানে তাদের মধ্য থেকেই হবেন দেশের নতুন প্রধানমন্ত্রী।
আগামী বৃহস্পতিবারের (১৮ জুলাই) মধ্যে ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবেন। এতে একধরনের সমঝোতা হয়ে গেছে—এমন ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।
GIPHY App Key not set. Please check settings