in

জয় দিয়ে শেষ করতে চায় বাংলাদেশ

জয় দিয়ে ওয়ানডে বিশ্বকাপ শেষ করার লক্ষ্য নিয়ে শনিবার পুনের মহারাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে নিজেদের নবম এবং শেষ ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলতে নামছে বাংলাদেশ। ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় বেলা ১১টায়।

ইতোমধ্যেই বিশ্বকাপ সেমিফাইনালের দৌড় থেকে ছিটকে গেছে বাংলাদেশ। এখন টাইগারদের প্রধান লক্ষ্য হলো, ২০২৫ আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলার আশা বাঁচিয়ে রাখা। নিউজিল্যান্ডের কাছে শ্রীলঙ্কার ৫ উইকেটে হারে ভালো সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে বাংলাদেশের। কিন্তু এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের খেলা নিশ্চিত হয়নি।

তবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বাংলাদেশের খেলার স্বপ্ন ভঙ্গও হতে পারে। যদি ভারতের বিপক্ষে নেদারল্যান্ডস জিতে যায় এবং অস্ট্রেলিয়ার কাছে বড় ব্যবধানে হারে বাংলাদেশ।

স্বাগতিক পাকিস্তানের পাশাপাশি বিশ্বকাপের শীর্ষ আট দল চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলার সুযোগ পাবে।

আফগানিস্তানকে ৬ উইকেটে হারিয়ে বিশ্বকাপ যাত্রা শুরু করেছিলো বাংলাদেশ। ওই জয়ের পরই পথ হারায় তারা। টানা ছয় ম্যাচ হেরে সেমিফাইনালে দৌঁড় থেকে ছিটকে পড়ে টাইগাররা।

হারের বৃত্তে ঘুরপাক খাওয়া বাংলাদেশ, অষ্টম ম্যাচে এসে অবশেষে দ্বিতীয় জয়ের দেখা পায়। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৩ উইকেটের জয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আশা বাঁচিয়ে রাখে টাইগাররা।

আগের ম্যাচে বাঁ-হাতের আঙুলের তর্জনীতে চিড় ধরায় অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলতে পারবেন না সাকিব। পরে টিম ম্যানেজমেন্টের পক্ষ থেকে জানানো হয়, দলের জয়ের জন্য ভাঙা আঙুল নিয়েই ব্যাট করেছেন এই অলরাউন্ডার।

ইতোমধ্যে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে অস্ট্রেলিয়া। সর্বশেষ ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের দারুণ ইনিংসের সুবাদে ৩ উইকেটের দুর্দান্ত জয়ে সেমির টিকিট পায় অসিরা।

ম্যাক্সওয়েলসহ প্রথম সারির বেশ কিছু খেলোয়াড়কে বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচে বিশ্রাম দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বাংলাদেশের রেকর্ড খুব বেশি ভালো নয়। দু’দলের ২১ ম্যাচের লড়াইয়ে বাংলাদেশ জিতেছে মাত্র একটিতে। ২০০৫ সালে কার্ডিফে মোহাম্মদ আশরাফুলের নান্দনিক সেঞ্চুরিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম জয়ের স্বাদ পেয়েছিলো বাংলাদেশ। ওয়ানডে ফরম্যাটে বাংলাদেশের বিপক্ষে ১৯টি ম্যাচে জয় পেয়েছে অস্ট্রেলিয়া। ১টি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়।

বিশ্বকাপে চারবারের দেখায় বাংলাদেশের বিপক্ষে তিনবার জয় পেয়েছে অস্ট্রেলিয়া। ২০১৫ সালের বিশ্বকাপে পরিত্যক্ত হওয়া ম্যাচটি বাংলাদেশকে কোয়ার্টার ফাইনালে তুলতে বড় ভূমিকা রেখেছিল। ওই বিশ্বকাপের ফলাফল এখনও বাংলাদেশের জন্য সেরা আসর হয়ে আছে।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

GIPHY App Key not set. Please check settings