চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলার ইশানবালা খালের মুখে নোঙর করা এমভি আল-বাখেরা নামের জাহাজ থেকে যাঁদের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে, তাঁদের দুজন সম্পর্কে মামা ও ভাগনে। তাঁদের বাড়ি ফরিদপুরে।
ওই দুজনের মধ্যে মামার নাম গোলাম কিবরিয়া (৬৫) ও ভাগনের নাম সবুজ শেখ (২৬)। তাঁদের বাড়ি ফরিদপুর সদরের গেরদা ইাউনিয়নের জোয়ারের মোড় এলাকায়। গোলাম কিবরিয়া ওই জাহাজের মাস্টার ছিলেন। আর সবুজ ওই জাহাজের লস্কর হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গোলাম কিবরিয়া চার ভাই ও এক বোনের মধ্যে বড়। এক ছেলে ও এক মেয়ের বাবা তিনি। অপর দিকে সবুজরা ছয় ভাই ও চার বোন। সবুজ শেখের ভাই ফারুখ শেখ বলেন, এক মাস আগে গোলাম কিবরিয়া ও সবুজ জাহাজে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হন। গতকাল বিকেলে তাঁরা এ মৃত্যুর ঘটনা জানতে পারেন। তিনি বর্তমানে ঘটনাস্থলের উদ্দেশে যাচ্ছেন বলে জানান।
সোমবার বেলা তিনটার পর হাইমচর উপজেলার ইশানবালা খালের মুখে নোঙর করা এমভি আল-বাখেরা নামের জাহাজ থেকে পাঁচজনের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। আর তিনজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন। এর মধ্যে একজনকে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
হাসপাতাল ও পুলিশ সূত্র বলছে, মরদেহ ও আহত ব্যক্তিদের শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাত ছিল। কারও কারও ছিল গলা কাটা। পুলিশের ধারণা, গতকাল দিবাগত রাতে দুর্বৃত্তরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে। নিহত ও আহত ব্যক্তিরা জাহাজটির কর্মী।
ডাকাতি নাকি শত্রুতার কারণে এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে, তা নিয়ে জানতে চাইলে জাহাজটির মালিক দিপলু রানা প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি জানি না কীভাবে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে, কারা ঘটিয়েছে। পুলিশ তদন্ত করে আসল ঘটনা বের করতে পারবে।’
GIPHY App Key not set. Please check settings