in

এমবাপে-রোনালদোর জেগে ওঠার আশায় ফ্রান্স-পর্তুগাল

পর্তুগাল-ফ্রান্স ম্যাচের আগে প্রশ্নটা উঠছে, মলিনতার খোলস ছেড়ে আড়মোড়া ভেঙে স্বরূপে ফিরবেন কি রোনালদো, এমবাপে? কোয়ার্টার-ফাইনালের রণে জিততে যে তাদের দিকে তাকিয়ে আছে দুই দলই।

হামবুর্গে শুক্রবার সেমি-ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে মুখোমুখি হবে ইউরোর এই দুই সাবেক চ্যাম্পিয়ন। ২০০০ সালে দ্বিতীয় ও সবশেষবার এই ট্রফি উঁচিয়ে ধরেছিল ফরাসিরা। পর্তুগিজরা জিতেছিল ২০১৬ সালে।

চলতি আসরে ‘ওপেন প্লে’ থেকে এখনও গোল পায়নি ফ্রান্স। আর পর্তুগাল শেষ দুই ম্যাচে গোলহীন; শেষ ষোলোর বৈতরণী দলটি পার হয়েছে টাইব্রেকারে স্লোভেনিয়াকে ৩-০ ব্যবধানে হারিয়ে।

নিজ নিজ দলের মতোই বিবর্ণ এমবাপে ও রোনালদো। আক্রমণভাগের প্রাণভোমরা এমবাপে এবার ফ্রান্সের অধিনায়ক, কিন্তু দলকে টানতে পারছেন না সেভাবে। এ পর্যন্ত একবারই তিনি জালের দেখা পেয়েছেন, তাও গ্রুপ পর্বে পোল্যান্ডের বিপক্ষে ১-১ ড্র ম্যাচে পেনাল্টি থেকে। টাইব্রেকারে স্লোভেনিয়ার বিপক্ষে জালের দেখা পেয়েছিলেন রোনালদো; কিন্তু এর বাইরে লক্ষ্যভেদ করতে পারেননি আন্তর্জাতিক ফুটবলের রেকর্ড গোলদাতা।

দুজনের সামর্থ্য নিয়ে অবশ্য সংশয়, সন্দেহ নেই কারো। কিন্তু তা কোনোভাবেই অনুদিত হচ্ছে না মাঠের সবুজে। অস্ট্রিয়া ম্যাচে নাক ভেঙে যাওয়ার এক ম্যাচ পর ফিরেছেন এমবাপে; মাস্ক পরে খেলছেন, কিন্তু রয়ে গেছেন মুখোশের আড়ালে। ৩৯ বছর রোনালদো বয়সের ভারে নুয়ে না পড়লেও কার্যকরিতার প্রশ্নে পড়ছেন পিছিয়ে।

দুজনের মরিয়া চেষ্টা নিয়েও নেই কোনো প্রশ্ন। চলতি আসরে সবচেয়ে বেশি শট নেওয়া খেলোয়াড়টি রোনালদো (২০টি), কম যাননি এমবাপেও (১৫টি), কিন্তু চেষ্টার সমান্তরালে মেলেনি ফল। বিফলে গেছে সব, এর মধ্যে রোনালদোর আছে স্লোভেনিয়ার বিপক্ষে পেনাল্টি মিসের হতাশাও।

এক দিক থেকে অবশ্য এগিয়ে ফ্রান্স। এখনও অজেয় তারা। গ্রুপ পর্বে এক জয় ও দুই ড্রয়ের পর শেষ ষোলোয় বেলজিয়ামকে দিদিয়ে দেশমের দল হারায় ১-০ গোলে। গোলটি ছিল প্রতিপক্ষের আত্মঘাতী।

জয়রথে থাকতে পারেনি পর্তুগাল। দুই জয়ে নকআউট পর্ব নিশ্চিতের পর বেঞ্চের শক্তি পরখ করতে গিয়ে জর্জিয়ার কাছে ২-০ গোলে হেরেই গিয়েছিল তারা। শেষ ষোলোর বাধা রবের্তো মার্তিনেসের দল পার হয় টাইব্রেকারে দিয়োগো কস্তার দুর্দান্ত গোলকিপিংয়ে।

ইউরোয় দুই দলের সবশেষ দেখা গত আসরে। বুদাপেস্টে গ্রুপ পর্বের সেই ম্যাচ হয়েছিল ২-২ ড্র। এর আগের স্মৃতি পর্তুগালের জন্য মহা প্রাপ্তির। ২০১৬ সালে ফরাসিদের হারিয়েই ইউরো সেরার মুকুট প্রথমবারের মতো পরেছিল তারা।

এবার হামবুর্গের লড়াইয়ে ফরাসি দুর্গের পতন ঘটাতে পর্তুগাল তাকিয়ে থাকবে রোনালদোর দিকে। ফরাসিরা সওয়ার হতে চাইবে এমবাপের কাঁধে। এখন দেখার অপেক্ষা, দুই ঘুমন্ত দৈত্যের কে কার আগে জেগে ওঠে, নাকি ঘুমিয়েই থাকে!

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

GIPHY App Key not set. Please check settings