in

এমপি আনোয়ারুল আজিমের খোঁজ পাওয়া যায়নি ৫ দিনেও

ভারতে গিয়ে নিখোঁজের পাঁচ দিনেও ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিমের সন্ধান পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে তার পরিবার।

পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, চিকিৎসার জন্য ভারতে যাওয়ার পর গত বৃহস্পতিবার থেকে সংসদ সদস্যের সঙ্গে স্বজনদের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন।

তার মুঠোফোনে স্বজনেরা যোগাযোগ করতে পারছেন না। আজ সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কোনো সন্ধান না পাওয়ায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন পরিবারের সদস্য, শুভাকাঙ্ক্ষী ও রাজনৈতিক নেতা–কর্মীরা।

সোমবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ শহরের ভূষণ রোডের রাজনৈতিক কার্যালয়ের সামনে কয়েকশ নেতা–কর্মী তার খোঁজ জানতে ভিড় করেন। অন্যদিকে সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিমের সুস্থতা কামনায় বিভিন্ন স্থানে দোয়া প্রার্থনা করেছেন রাজনৈতিক শুভাকাঙ্ক্ষীরা।

আনোয়ারুল আজিমের ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) আবদুর রউফের ভাষ্য, ১২ মে সংসদ সদস্য চিকিৎসার জন্য দর্শনা সীমান্ত দিয়ে ভারতে যান। প্রথমে পশ্চিমবঙ্গে বরাহনগর থানার মণ্ডলপাড়া লেনে গোপাল বিশ্বাস নামের পরিচিত এক ব্যক্তির বাড়িতে ওঠেন। পরের দিন ১৩ মে ডাক্তার দেখানোর জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান।

১৫ মে বরাহনগরের বাসিন্দা গোপাল বিশ্বাসের হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে বার্তা পাঠান, তিনি দিল্লি যাচ্ছেন। ১৬ মে সংসদ সদস্যের ব্যক্তিগত গাড়িচালক তরিকুল ইসলামের ব্যক্তিগত মুঠোফোনেও একটি খুদে বার্তা পাঠিয়ে জানান দিল্লি যাওয়ার কথা। এর পর থেকে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়ে যান তিনি।

আনোয়ারুল আজিমের সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পেরে ১৮ মে থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন সংসদ সদস্যের পরিচিত ভারতের বরাহনগরের বাসিন্দা গোপাল বিশ্বাস।

এদিকে বাবার খোঁজে গতকাল রোববার বিকেলে আনোয়ারুল আজিমের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস রাজধানীর মিন্টো রোডে অবস্থিত ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কার্যালয়ে যান। পরে গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান হারুন–অর–রশীদ উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মীদের জানান, সংসদ সদস্যের খোঁজে ভারতীয় পুলিশের সহায়তা চাওয়া হয়েছে।

আনোয়ারুল আজিমের সর্বশেষ তথ্য জানতে তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তা সম্ভব হয়নি। তবে তার পারিবারিক একটি সূত্র বলছে, মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস আজ ভিসার জন্য ভারতীয় দূতাবাসে কাগজপত্র জমা দিয়েছেন। আশা করছেন কাল মঙ্গলবার ভিসা পেয়ে যাবেন। ভিসা পেলে মুমতারিন বাবার খোঁজে ভারত রওনা দেবেন।

কালীগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও পৌরসভার মেয়র আশরাফুল আলম জানিয়েছেন, পাঁচ দিন পরও সংসদ সদস্যের কোনো খবর তারা পাননি। এতে তারা উদ্বিগ্ন।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

GIPHY App Key not set. Please check settings