প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, আওয়ামী লীগ ১৫-১৬ বছর শিবির, বিএনপি ট্যাগ দিয়ে আমাদের কণ্ঠরোধের চেষ্টা করেছে। আমরা যেন সেই পরিবেশ সৃষ্টি না করি।
তিনি বলেন, আমরা যেন আমাদের আচরণে ফ্যাসিবাদী না হই। আমরা যেন আরেকজনের ভয়েসটা কেড়ে না নিই। যারা ক্রিটিসাইজ করে তাদের ভয়েস আমরা যেন কেড়ে না নিই। আমরা প্রত্যেকটা ভয়েসকে ওয়েলকাম জানাই। প্রত্যেকটা ভয়েস বাংলাদেশের জারি থাকুক।
বুধবার (২০ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে আয়োজিত বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে গণহত্যায় গণমাধ্যমের ভূমিকা নিয়ে ‘জুলাই গণহত্যায় গণমাধ্যমের ভূমিকা: জবাবদিহি ও সংস্কার প্রস্তাব’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ‘ফ্যাসিবাদমুক্ত গণমাধ্যম চাই’-এর উদ্যোগে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
শফিকুল আলম বলেন, যারা যারা গুম হয়েছেন, তাদের নিয়ে কারা কী কটূক্তি করেছে সেটা জানা উচিত। শাপলা চত্বরে হেফাজতের যে কিলিং হয়েছে, আমরা ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ডে এগুলো বের করবো। ২০০৯ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত শেখ হাসিনা অনেক প্রেস কনফারেন্স করেছেন। প্রত্যেকটার বিবরণ আছে। কে কী করেছেন সেটা রয়েছে। প্রত্যেকটা ঘটনা ধরে ধরে কার কী ভূমিকা ছিল, সেটা লিপিবদ্ধ করে রাখতে হবে। ইন্টারন্যাশনাল জার্নালিস্ট রাইট গ্রুপগুলোকে আমরা ইনভাইট করবো। তারা যাতে এসে ইনভেস্টিগেশন করে দেশে কী ধরনের সাংবাদিকতা হয়েছে।
প্রেস সচিব বলেন, পহেলা জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত যে সাংবাদিকতা হয়েছে, টিভিতে যেভাবে আমাদের স্টুডেন্টদের সন্ত্রাসী বলা হয়েছে, সেগুলো জানা উচিত। আমরা ইন্টারন্যাশনাল জার্নালিস্ট রাইট গ্রুপগুলোকে আমন্ত্রণ জানাবো, আপনারা আসুন এবং ইনভেস্টিগেট করুন কী ধরনের সাংবাদিকতা হয়েছে। কোথায় কোথায় ফ্যাসিবাদী বয়ান তৈরি করা হয়েছে দেখুন।
তিনি আরও বলেন, প্রত্যেকটি বিষয়ে আমরা গুরুত্বের সঙ্গে গবেষণার দাবি রাখি। গবেষণা করলে পরবর্তী প্রজন্মের কাছে আমাদের যে দায় রয়েছে, সেটির জায়গাগুলো মিটবে। তাদের আমরা দেখাতে পারবো, কোন কোন ঘটনাগুলো ঘটেছে।
‘ফ্যাসিবাদমুক্ত গণমাধ্যম চাই’-এর আহ্বায়ক সাংবাদিক জয়নাল আবেদীন শিশিরের সভাপতিত্বে এবং মুখপাত্র প্লাবন তারিকের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও ছিলেন দৈনিক আমার দেশের নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমেদ, বাসসের সিনিয়র সাংবাদিক এস এম রাশেদুল ইসলাম, দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের চিফ রিপোর্টার আব্বাস উদ্দিন নয়ন, গবেষক ও শিক্ষক মাহাবুব আলম, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সহ-সভাপতি ডা. তৌহিদুর রহমান আওয়াল, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের প্রকাশনা সম্পাদক আজিজুর রহমান আজাদ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও একতার বাংলাদেশের সদস্য সচিব তাহমিদ আল মুদাসসির, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার শিহাব উদ্দিন খান, নিউ এইজ-এর সিনিয়র সাংবাদিক ফয়েজ আহমেদ প্রমুখ।
GIPHY App Key not set. Please check settings