in

আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের লক্ষ্য বাংলাদেশের

পারফরমেন্সের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখে আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ জয়ের লক্ষ্য নিয়ে আগামীকাল তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে মাঠে নামছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় বিকাল ৪টায় শুরু হবে ম্যাচটি।

প্রথম দুই ম্যাচ শেষে বাংলাদেশ-আফগানিস্তান সিরিজে এখন ১-১ সমতা বিরাজ করছে। সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৯২ রানে হেরেছিলো বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচে ব্যাটিং-বোলিং নৈপুন্যে ৬৮ রানের জয়ে সিরিজে সমতা আনে টাইগাররা। ফলে তৃতীয় ওয়ানডেটি সিরিজ নির্ধারনী ম্যাচে রূপ নিয়েছে।

সিরিজে সমতা আনার পাশাপাশি শারজাহর মাঠে প্রথম জয়ের স্বাদ পায় বাংলাদেশ। ১৯৯০ সালে শারজাহর মাঠে প্রথম খেলতে নেমেছিলো টাইগাররা।

প্রথম দুই ম্যাচে যে দল আগে ব্যাট করছে তারাই সহজ জয় পেয়েছে। তাই সিরিজ নির্ধারনী ম্যাচে টস বড় ভূমিকা রাখবে।

দ্বিতীয় ম্যাচে ব্যাাট হাতে সামনে থেকে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। ৭৬ রানের ইনিংস খেলে দলের জয়ে বড় ভূমিকা রাখেন তিনি। সিরিজ জিততে হলে দলকে আরও উন্নতি করতে হবে বলে মনে করেন শান্ত।

দ্বিতীয় ম্যাচের পর শান্ত বলেন, ‘এখন একটু ভালো লাগছে। কিন্তু এখনও কিছু বাকী আছে। আমাদের পরের ম্যাচ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। সত্যি বলতে আমি খুশি নই। স্পিনের বিপক্ষে উইকেট কঠিন ছিল বলে সম্ভবত আমাকে একটু বেশিক্ষণ ব্যাট করতে হয়েছে। আমাদের ব্যাটারদের উইকেটের গুরুত দিতে হবে।’

গত বছরের ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর দলে ফিরেই বল হাতে দারুন পারফরমেন্স করেছেন বাঁ-হাতি স্পিনার নাসুম আহমেদ। ব্যাট হাতে ২৫ রান করার পর বোলিংয়ে ২৮ রানে ৩ উইকেট নিয়ে দলের জয়ে বড় অবদান রাখেন নাসুম।

এছাড়াও ২ উইকেট নিয়ে দলের জন্য অবদান রেখেছেন স্পিনার মেহেদি হাসান মিরাজ। প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানের স্পিনাররা যেধরণের পারফরমেন্স করেছিলো তাতে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে রশিদ খান-আল্লাহ গজাফারদের ছাড়িয়ে গেছে বাংলাদেশের স্পিনাররা।

স্পিনারদের পারফরমেন্সের কারনে তৃতীয় ম্যাচের আগে দল আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠেছে বলে জানান অধিনায়ক শান্ত। তিনি বলেন, ‘মিরাজ ও নাসুম যেভাবে বোলিং করেছে, এজন্য কৃতিত্ব তাদের দিতে হবে। গুরবাজকে শুরুতে আউট করেছে তাসকিন। আমরা শুরুতেই এমনটাই চেয়েছিলাম। কারণ সে আফগানদের একজন গুরুত্ব¡পূর্ণ ব্যাটার।’

দ্বিতীয় ম্যাচে জয়ের পর ১৮ ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের জয় এখন ১১টি এবং হার ৭টি।

গত বছরের জুলাইয়ের আফগানিস্তানের কাছে ২-১ ব্যবধানে প্রথমবারের মত ওয়ানডে সিরিজ হেরেছিলো বাংলাদেশ। ঐ হারের আগ পর্যন্ত দ্বিপাক্ষিক সিরিজে আফগানিস্তানের বিপক্ষে দুর্দান্ত রেকর্ড ছিলো টাইগারদের।

নিজেদের পছন্দের ফরম্যাটে সিরিজ হেরে যাওয়ায় বাংলাদেশের ক্রিকেটে বাজে অধ্যায়ের সূচনা হয়।

তবে শেষ ম্যাচে জয় পেলে আফগানিস্তানের কাছে টানা দ্বিতীয় দ্বিপাক্ষিক সিরিজে হার এড়াতে পারবে বাংলাদেশ।

শান্ত বলেন, দল এখন সিরিজ জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী। আমাদের আরও ভালো পারফরমেন্স করতে হবে। জাকের যেভাবে ইনিংসের শেষ দিকে ব্যাট করেছে সেটি দুর্দান্ত ছিলো। আশা করি আমরা ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে পারবো।

দ্বিতীয় ম্যাচে জয় পাওয়ায় শেষ ওয়ানডেতে বাংলাদেশ একাদশে পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই।

বাংলাদেশ দল : নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), মেহেদি হাসান মিরাজ (সহ-অধিনায়ক), সৌম্য সরকার, তানজিদ হাসান তামিম, জাকির হাসান, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, তাওহিদ হৃদয়, জাকের আলি অনিক, রিশাদ হোসেন, নাসুম আহমেদ, তাসকিন আহমেদ, মুস্তাফিজুর রহমান, শরিফুল ইসলাম ও নাহিদ রানা।

আফগানিস্তান দল : হাশমতুল্লাহ শাহিদি (অধিনায়ক), রহমত শাহ, রহমানউল্লাহ গুরবাজ, ইকরাম আলিখিল, আবদুল মালিক, রিয়াজ হাসান, সেদিকুল্লাহ আতাল, দরবেশ রাসুলি, আজমতুল্লাহ ওমরজাই, মোহাম্মদ নবী, গুলবাদিন নাইব, রশিদ খান, নাঙ্গিয়াল খারোতি, এএম গাজানফর, নূর আহমেদ, ফজলহক ফারুকি, বিলাল সামি, নাভিদ জাদরান, ফরিদ আহমদ মালিক।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

GIPHY App Key not set. Please check settings