সরকার ঘোষিত হজ প্যাকেজকে (হজ প্যাকেজ ২০২৩) কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং প্যাকেজ কেন কমিয়ে নির্ধারণ করা হবে না-তা জানতে চেয়ে সংশ্লিষ্টদের প্রতি রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে সংশ্লিষ্টদের এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এই বিষয়ে জনস্বার্থে আনা রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ আজ এ আদেশ দেন।
রিটের পক্ষে আইনজীবী পারভেজ হোসেন আদালতের বিষয়টি জানান। স্পেশাল ম্যাসেঞ্জারের মাধ্যমে রুলের কপি পাঠাতে বলা হয়েছে। আদালতে এডভোকেট পারভেজ হোসেনের সাথে ছিলেন এডভোকেট আহসান উল্লাহ, হুমায়ুন কবীর তামিম, আজিজুল ইসলাম ও মো. ওমর ফারুক।

সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী মো. আশরাফ-উজ জামান রিটটি দায়ের করেন। রিটকারী আইনজীবী বলেন, ‘হজের সময় সব বিমানকে যাত্রী পরিবহন করার সুযোগ দেয়া প্রয়োজন বলে পর্যবেক্ষণ দেন আদালত।’
গত ২৮ নভেম্বর সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী আশরাফ-উজ জামান ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর রেজিস্ট্রি ডাকযোগে লিগ্যাল নোটিশ পাঠান। রিটকারী আইনজীবী আশরাফ-উজ জামান বলেন, হজের মোট খরচ ৪ লাখ টাকায় সীমাবদ্ধ রাখতে বলা হয়েছে। সেখানে সরকার সাধারণ হজ প্যাকেজ ৫ লাখ ৭৮ হাজার ৮৪০ টাকা নির্ধারণ করেছে। আর বিশেষ প্যাকেজ ৯ লাখ ৩ হাজার টাকা করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, হজের মতো একটি ফরজ ইবাদতের অতিরিক্ত মূল্য নির্ধারণ করা বাধা সৃষ্টির নামান্তর। নোটিশ পাওয়ার পর কোনো পদক্ষেপ না নেয়ায় হাইকোর্টে রিটটি দায়ের করা হয়। ওই রিটের শুনানি নিয়ে এ আদেশ দেন আদালত।
রিটে বলা হয়, ২০২৪ সালের হজ প্যাকেজ (হিজরি-১৪৪৫) এর হজযাত্রীপ্রতি খরচ অত্যন্ত অযৌক্তিক, যা মানুষের নাগালের বাইরে। ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের গেজেটে মক্কা ও মদিনায় বাড়িভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে বাংলাদেশি টাকায় এক লাখ ৬৯ হাজার ৪১০ টাকা। যা অনেক বেশি।
রিটে আরও বলা হয়, সৌদির মিনা-আরাফাহ-মুজদালিফা এবং ‘ডি’ ক্যাটাগরির অধীনে মিনায় ফেরার পর পাঁচদিন থাকার জন্য সার্ভিস চার্জ বাংলাদেশি টাকায় ৬২ হাজার ২৭১ টাকা নির্ধারণ করা হয়, যা অতিরিক্ত বলে দাবী করা হয় রিটে।
GIPHY App Key not set. Please check settings