in

শুটিং চলাকালে গুরুতর অসুস্থ মিঠুন, হাসপাতালে ভর্তি

বলিউড তারকা মিঠুন চক্রবর্তী শনিবার সকাল ১০টা নাগাদ হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। কলকাতার অভিনেতা সোহম চক্রবর্তীর প্রযোজনায় ‘শাস্ত্রী’ সিনেমার শুটিং চলাকালে অসুস্থ হন তিনি। দেরি না করে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান তৃণমূলের বিধায়ক-অভিনেতা সোহম। হঠাৎ কী হয়েছিল প্রবীণ এই তারকার?

জানা গেছে, ‘শাস্ত্রী’ সিনেমার শুটিংয়ের জন্য গত ২৯ জানুয়ারি থেকে কলকাতায় রয়েছেন মিঠুন চক্রবর্তী। ২৯ জানুয়ারি থেকে তিনি দমদম এয়ারপোর্টের কাছাকাছি নিউ টাউন অঞ্চলের ওয়েস্টিন হোটেলে ছিলেন।

শনিবার সকাল থেকে কলকাতার দেশপ্রিয় পার্কের গোলবাড়িতে ‘শাস্ত্রী’ ছবির শুটিং চলছিল। এমনিতে কয়েক দিন ধরে মিঠুন তার ঘনিষ্ঠদের বলছিলেন, শরীরটা ভালো লাগছে না।

শনিবার সকালবেলায় ওয়েস্টিন হোটেল থেকে দেশপ্রিয় পার্কের শুটিং স্পটে যাওয়ার আগে অসুস্থ বোধ করতে থাকেন মিঠুন চক্রবর্তী। সে সময় এ ছবির প্রযোজক এবং বাংলা ছবির অভিনেতা সোহম চক্রবর্তী মিঠুন চক্রবর্তীর সঙ্গে ছিলেন। তিনি তড়িঘড়ি করে কাছের অ্যাপোলো হাসপাতালে নিয়ে যান মিঠুন চক্রবর্তীকে।

সেই হাসপাতালে চিকিৎসকেরা মিঠুন চক্রবর্তীর শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে ভর্তি করে নেন। মিঠুন চক্রবর্তী আপাতত অ্যাপোলো হাসপাতালের মহারাজা স্যুটের আইসিইউতে রয়েছেন। এখানে একদল চিকিৎসকের একটি মেডিকেল টিম তাকে পর্যবেক্ষণে রেখেছে। এই মেডিকেল টিমের প্রধান হলেন স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞ সঞ্জয় ভৌমিক।

সর্বশেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী মিঠুন এখন স্থিতিশীল এবং সজ্ঞানে রয়েছেন। হাসপাতালে ভর্তির সঙ্গে সঙ্গে ৭৩ বছর বয়সী অভিনেতার বিশেষ এমআরআই করা হয়। সেই সঙ্গে রক্ত পরীক্ষা এবং ইসিজির মতো আরও বেশ কিছু পরীক্ষাও করা হয়েছে। এসব পরীক্ষার রিপোর্ট পাওয়ার পর সেই রিপোর্টগুলো দেখে চিকিৎসকেরা পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবেন।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ লিখিত বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘শ্রী মিঠুন চক্রবর্তী (৭৩), জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেতা শরীরের ডান দিকের ওপর ও নিচের অংশে ব্যথা নিয়ে সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে কলকাতার অ্যাপোলো মাল্টিস্পেশালিটি হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আসেন। তার মস্তিষ্কের প্রয়োজনীয় পরীক্ষা এবং রেডিওলজি বিভাগে পরীক্ষা-নিরীক্ষার করা হয়েছে। তার মস্তিষ্কের ইস্কেমিক সেরিব্রোভাসকুলার অ্যাক্সিডেন্ট (স্ট্রোক) ধরা পড়েছে। তবে বর্তমানে তিনি সম্পূর্ণ সচেতন ও ভালো আছেন। ডায়েটে নরম খাবার খাচ্ছেন। শ্রী মিঠুন চক্রবর্তী এ মুহূর্তে একজন নিউরো চিকিৎসক, কার্ডিওলজিস্ট এবং একজন গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজিস্টসহ চিকিৎসকদের নিয়ে তৈরি মেডিকেল টিমের তত্ত্বাবধানে রয়েছেন।’

চিকিৎসকদের মতে, হার্টের সমস্যা, ডায়াবেটিস ও বয়সজনিত কারণে ব্রেন স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে। এমনকি এ রোগে পরিবারের কেউ আগে আক্রান্ত হলেও স্ট্রোক হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়। ৭৩ বছরে এ অভিনেতার আগে কখনো কোনো স্ট্রোক কিংবা অন্যান্য মেডিকেল ইতিহাস রয়েছে কি না, তা–ও জানার চেষ্টা করছে মেডিকেল টিম।

ইতিমধ্যে কলকাতা থেকে মিঠুন চক্রবর্তীর অসুস্থতার খবর তার পরিবারের কাছে মুম্বাইতে পৌঁছে গেছে। আজ রাতের মধ্যে মুম্বাই থেকে তাঁর পরিবারের সদস্যরা কলকাতায় পৌঁছে যাবেন বলে শোনা যাচ্ছে।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

GIPHY App Key not set. Please check settings