ফ্রান্সের অভিবাসন আইন আগের চেয়ে কয়েকগুণ কঠিন হলো। মঙ্গলবার যে শরণার্থী বিল পার্লামেন্টে পাস হয়েছে, সেখানে অভিবাসন সংক্রান্ত নিয়ম অনেক বেশি কড়া হয়েছে। এমনকি ছাড় দেওয়া হয়নি শিশুদেরও।
এ বিল নিয়ে আলোচনার সময় প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ নিজের দলের ভেতরেই সমালোচিত হয়েছিলেন বরং তিনি সাহায্য পেয়েছিলেন অতি দক্ষিণপন্থীদের কাছ থেকে, যা নিয়ে ম্যাক্রোঁ খুব খুশি ছিলেন না।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে বিলটি পাস করানোর সময় অতি দক্ষিণপন্থীদের সমর্থন প্রয়োজন হয়নি ম্যাক্রোঁর। তার নিজের দল পাশে দাঁড়িয়েছে।

ফরাসি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও মঙ্গলবার আনন্দ প্রকাশ করেছেন। আইনটি নিয়ে পার্লামেন্টে তীব্র বিতর্কের আশঙ্কা করেছিলেন তিনি। এবং শেষ পর্যন্ত অতি দক্ষিণপন্থিদের সমর্থনের প্রয়োজনীয়তার কথা ভেবেছিলেন তিনিও। মঙ্গলবার দৃশ্যত খুশি দেখিয়েছে তাকে।
আইনটির খসড়া পার্লামেন্টে একাধিকবার বদলেছে। বামপন্থীদের বক্তব্য, অতি দক্ষিণপন্থীদের চাপে বিলটি বার বার বদলানো হয়েছে। শরণার্থীরা রেসিডেন্সি পারমিট আগে যত সহজে এবং দ্রুত পেতেন, নতুন আইনে তা আর পাওয়া যাবে না।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের কোনো দেশ থেকে আশা শরণার্থীর জন্য বহু নিয়ম এখনো আগের মতোই থাকবে। কিন্তু শরণার্থী ইইউর না হলে ফ্রান্সে হাউজিং বেনিফিট বা বাড়ি পাওয়ার অধিকার পেতে অন্তত পাঁচ বছর সময় লাগবে।
মাইগ্রেশন কোটাও তৈরি করা হয়েছে। এর ফলে শরণার্থী শিশুদের ফরাসি নাগরিকত্ব পেতে অসুবিধা হবে। শুধু তা-ই নয়, অবৈধ শরণার্থীদের সহজেই এই আইনের ফলে দেশ থেকে বার করে দেওয়া যাবে। ছাড় দেওয়া হবে না ১৪ বছরের নিচের ব্যক্তিদেরও।
বিলটি নিয়ে আলোচনার সময় থেকেই এনিয়ে তীব্র আন্দোলন হচ্ছে ফ্রান্সে। আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, বিলটি পাস হলেও তাদের আন্দোলন চলতে থাকবে।
GIPHY App Key not set. Please check settings