ফ্রান্সে আবায়া পরে আসায় অনেক শিক্ষার্থীকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। তাদের ফেরত পাঠানো হয়েছে। শিক্ষা ক্যালেন্ডারে বছরের প্রথম দিনে শিক্ষার্থীরা আবায়া পরে আসায় কয়েক ডজন শিক্ষার্থীকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দেশটির শিক্ষামন্ত্রী গ্যাব্রিয়েল আত্তাল এ কথা বলেছেন।
ফ্রান্সে নতুন শিক্ষাবর্ষে সরকারি বিদ্যালয়গুলোয় মুসলিম মেয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য নতুন একটি নিয়ম চালু হয়েছে। এর আওতায় মেয়ে শিক্ষার্থীরা সরকারি বিদ্যালয়ে আবায়া পরে যেতে পারবে না।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, মুসলিম পোশাকের ওপর সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ৩০০ মেয়ে শিক্ষার্থীরা স্কুলে আসে। বেশির ভাগ আবায়া না পরতে রাজি হয়েছিল। কিন্তু ৬৭ জন এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে আবায়া পরে ছিল। তাদের বাড়িতে পাঠানো হয়েছে।

৪ সেপ্টেম্বর থেকে আবায়া পরে সরকারি স্কুলে না যেতে পারার এই নতুন নিয়ম চালু হয়েছে। ফ্রান্সের সরকারি বিদ্যালয় ও সরকারি ভবনে যেকোনো ধরনের ধর্মীয় চিহ্নের ব্যবহার নিষিদ্ধ। এ জন্য উনিশ শতক থেকে কঠোর আইন করে রেখেছে দেশটি।

৪ সেপ্টেম্বর থেকে আবায়া পরে সরকারি স্কুলে না যেতে পারার এই নতুন নিয়ম চালু হয়েছেছবি: এএফপি
এ বিষয়ে সম্প্রতি একটি টিভি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ফরাসি শিক্ষামন্ত্রী গ্যাব্রিয়েল বলেন, সরকারি বিদ্যালয়গুলোয় শিক্ষার্থীদের বোরকা পরার অনুমতি দেওয়া হবে না বলে ঠিক করা হয়েছে। কেননা, শ্রেণিকক্ষে পোশাক দেখে কারও ধর্মবিশ্বাস বুঝতে পারা উচিত নয়।
এর আগে ২০০৪ সালে ফ্রান্সে বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের স্কার্ফ পরার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। এরপর ২০১০ সালে জনসমক্ষে পুরো মুখ ঢেকে নেকাব পরা নিষিদ্ধ করা হয়। এসব নিয়ম দেশটিতে বসবাস করা মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রায় ৫০ লাখ মানুষকে ক্ষুব্ধ করেছিল।
GIPHY App Key not set. Please check settings