ইউরোপের দেশ ফ্রান্স। পৃথিবীর শিল্প-সাহিত্যে প্রসারে দেশটির সংস্কৃতি ব্যাপক ভূমিকা রেখেছে। মধ্যযুগ থেকেই প্যারিস পাশ্চাত্যের সাংস্কৃতিক জীবনের কেন্দ্রবিন্দু।
শুধু শিল্প-সাহিত্যই নয়, ফ্রান্সের মানুষের ফুটবল খেলার প্রতিও দুর্বলতা রয়েছে। কিংবদন্তি মিশেল প্লাতিনি ও জিনেদিন জিদান এই দেশটির হয়ে মাঠ কাঁপিয়েছেন। সেই ফ্রান্সেই এখন ক্রিকেট খেলার নতুন সূর্যোদয় হয়েছে।
প্রথমবারের মত ফ্রান্সে শাহ গ্রুপ ও মির্জা গ্রুপের স্পন্সরশিপে ফ্রান্স ক্রিকেট বোর্ড আয়োজিত ‘ফ্রান্স-বাংলা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগ-২০২৩’ অনুষ্ঠিত হয়ে গেল। প্যারিসের অদূরে বিল দু দুয়েক সিটি স্টেডিয়ামে লিগটি অনুষ্ঠিত হয়।

লিগ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ফ্রান্স ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি প্রভু বালানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, ফ্রান্সের বিল দু দুয়েক সিটির মেয়র পিয়ার ফেডেরিক বিলেত।
তিনি বলেন, দীর্ঘ ৩০ বছর থেকে এই সিটিতে আমরা ক্রিকেটকে ধারণ ও লালন করে আসছি। এখানে সফলতার সঙ্গে খেলাধুলায় অংশ নিয়েছেন ফ্রান্স, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, ভারতীয় বংশোদ্ভূত নাগরিকরা। আমরা চাই খেলাধুলার মাধ্যমে একটি সুন্দর সমাজ ও পৃথিবী উপহার দিতে।
শাহ গ্রুপের চেয়ারম্যান সাত্তার আলী সুমন ও মির্জা গ্রুপের চেয়ারম্যান মির্জা মাজহারুল ইসলাম। তিনি বলেন, ক্রিকেট দক্ষিণ এশিয়ার অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি খেলা। ইউরোপে এই খেলার তেমন জনপ্রিয়তা আগে না থাকলেও এখন বেড়েছে। আমরা চাই খেলাধুলার মাধ্যমে মানুষের পাশে থাকতে। সেই ইচ্ছা নিয়েই ইউরোপে আমাদের এই উদ্যোগ।
ম্যাচটি দেখতে মাঠের চারপাশে বাংলাদেশ, পাকিস্তান, ভারত, নেপালসহ এশিয়ার বিভিন্ন দেশের দর্শকদের উপস্থিত হতে দেখা যায়। এ ছাড়া খেলা দেখতে অতিথি গ্যালারিতে উপস্থিত ছিলেন অ্যাসাইলাম অ্যান্ড ইমিগ্র্যান্ট সলিউশন সংস্থার পরিচালক ওবায়েদউল্লাহ কয়েস, বাংলা অটো স্কুলের সিইও হোসেন সালাম রহমান, বিডি ফার্নিচারের চেয়ারম্যান মিয়া মাসুদ, জুবায়ের আহমদ, মশিউর রহমান কাজলসহ ফ্রান্স ক্রিকেট বোর্ডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
খেলায় ফ্রান্স, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, ইন্ডিয়া, শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তানের খেলোয়াড়দের অংশগ্রহণে মোট ২৪টি দলের খেলা অনুষ্ঠিত হয়। খেলার প্রথম স্থান অর্জনকারী দলকে তিন হাজার ইউরো ও ট্রফি দেওয়া হয়, দ্বিতীয় স্থান অর্জনকারী টিমকে দেড় হাজার ইউরো ও ট্রফি দেওয়া হয়।
সাত্তার আলী সুমন বলেন, ফ্রান্সে বেড়ে ওঠা বাংলাদেশি নতুন প্রজন্মের জন্য আমরা পরিকল্পনা নিয়েছি, যাতে তারা ভবিষ্যতে আন্তর্জাতিক মানের খেলা উপহার দিতে পারে।
মির্জা মাজহারুল ইসলাম বলেন, ক্রিকেট খেলা এশিয়া তথা বাংলাদেশের একটি আত্মমর্যাদার প্রতীক। এ ধারা অব্যাহত রাখতে আমাদের সব প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
GIPHY App Key not set. Please check settings