ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের নৌবাহিনী দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি নতুন ক্ষেপণাস্ত্র ও হেলিকপ্টার হাতে পেয়েছে। এই ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রে কৌশলগত ব্যবস্থা এবং হেলিকপ্টারে ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার সিস্টেম রয়েছে।
রোববার ইরানের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় বন্দরনগরী কোনারাকে এক অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে নতুন এই অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম নৌবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইরানের সেনাবাহিনীর প্রধান কমান্ডার মেজর জেনারেল আব্দুর রহিম মুসাভি, ইরানের নৌবাহিনীর কমান্ডার রিয়ার অ্যাডমিরাল শাহারাম ইরানি এবং অন্য কয়েকজন শীর্ষ পর্যায়ের সামরিক কর্মকর্তা।
প্রেস টিভি জানিয়েছে, আজকে ইরানের নৌবাহিনীকে কৌশলগত তালাইয়া ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা ও নাসির ক্লোজ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা হস্তান্তর করা হয়। এছাড়া, দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি যে হেলিকপ্টার দেয়া হয়েছে তাতে প্রথমবারের মতো ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার সিস্টেম যুক্ত করা হয়েছে। এই হেলিকপ্টার মূলত সামরিক নজরদারির কাজে ব্যবহার করা হবে।

আটটি লঞ্চারসহ ভূমি থেকে ভূমিতে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা, জামারান ডেস্ট্রয়ারে বসানো সানজার স্মার্ট লোটারিং এবং সুইসাইড ড্রোন, ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার ও নজরদারি অপারেশনের জন্য ব্যবহৃত একটি বহুমুখী ড্রোন সিস্টেম, ডুবুরি সনাক্তকরণ ব্যবস্থা এবং বন্দর ও নোঙ্গরগুলোতে ব্যবহৃত সিরভান টাগবোট রয়েছে।
অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করার সময় শাহরাম ইরানি জানান, তালাইয়ে স্মার্ট ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা এক হাজার কিলোমিটারে বেশি যা চলার সময় গতিপথ পরিবর্তন করতে পারে এবং আঘাত করার আগে এটি নতুন লক্ষ্য বেছে নিতে পারে।
নাসির ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা ১০০ কিলোমিটারের বেশি এবং এটি শত্রুর লক্ষ্যবস্তুর ওপর উচ্চ ধ্বংসাত্মক ক্ষমতা নিয়ে আঘাত করতে পারে। এই ক্ষেপণাস্ত্র বিভিন্ন শ্রেনির রকেট লঞ্চিং জাহাজে বসানো যায়। এছাড়া, নতুন যে হেলিকপ্টার সংযুক্ত করা হয়েছে তা বিভিন্ন ধরনের ক্ষেপণাস্ত্রকে ফাঁকি দিতে পারে।
GIPHY App Key not set. Please check settings