বাংলাদেশের তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেছেন, ঢাকা ফিলিস্তিনের নিপীড়িত জনগণের পাশে রয়েছে।
সোমবার কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা অ্যারাবিকে গাজায় ইসরায়েলি দখলদারিত্ব, গণহত্যা ও ফিলিস্তিনের বিপক্ষে ইসরাইলের অপতথ্য প্রচার সংক্রান্ত এক সাক্ষাৎকার প্রদানকালে তিনি এ কথা বলেন।
এদিন ঢাকায় প্রাপ্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ফিলিস্তিন সংকটের বিষয়ে বাংলাদেশের অবস্থান জানতে চাইলে সাক্ষাৎকারে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সবসময় ফিলিস্তিনের নিপীড়িত মানুষের পক্ষে আছে। এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবস্থান অত্যন্ত জোরালো ও সুস্পষ্ট। তিনি কিছুদিন আগে মিউনিখে নিরাপত্তা সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেছিলেন। সেখানে তিনি স্পষ্টভাবে বলেছেন, গাজা উপত্যকায় যা ঘটছে তা গণহত্যা। এটাই আমাদের অবস্থান। আমরা বিশ্বাস করি, ফিলিস্তিনের জনগণ নিপীড়িত হচ্ছে। এখানে সুস্পষ্টভাবে দুটি পক্ষ রয়েছে। একটি পক্ষ নির্যাতন করছে। অপর পক্ষ নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। বাংলাদেশ ফিলিস্তিনের নির্যাতিত জনগণের এবং স্বাধীনতার পক্ষে।

এ সময় তিনি আরও বলেন, গাজায় ইসরাইল বর্বর হত্যাকাণ্ড চালাচ্ছে এবং তারা এ ভূখণ্ড দখল করে রাখায় সেখানের জনগণ তাদের মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এই হত্যাযজ্ঞ বন্ধ করতে এবং বিশ্বকে সত্য জানাতে মুসলিম উম্মাহকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গাজায় মানবিক প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করা, অবৈধ দখলদারিত্ব বন্ধ করা ও যুদ্ধবিরতি কার্যকর করার উদ্যোগ নিতে বিশ্ব নেতৃবৃন্দের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, গাজায় যা ঘটছে তা ধর্ম, দেশ, জাতিসত্তার ঊর্ধ্বে। সেখানে মানবিকতা পরাজিত হচ্ছে। সেখানে অবিশ্বাস্যভাবে নারী-শিশু হত্যা করা হচ্ছে, বেসামরিক ব্যক্তিরা গণহত্যার শিকার হচ্ছে। গাজায় জনসাধারণের স্বাধীনতা নেই। এ বিষয়ে পক্ষে-বিপক্ষে বিবৃতিতে না গিয়ে, বিতর্ক না করে বিশ্বের কাছে সত্য তুলে ধরতে হবে।
উল্লেখ্য, ওআইসি সদস্য দেশগুলোর তথ্যমন্ত্রীদের ইসলামিক সম্মেলনে যোগ দিতে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী গত ২৩ ফেব্রুয়ারি তুরস্ক সফরে যান। সফর শেষে আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি তার ঢাকায় ফেরার কথা রয়েছে।
GIPHY App Key not set. Please check settings