in

জয় দিয়ে বিপিএল শেষ করল সিলেট

জয় দিয়ে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে লিগের দশম আসর শেষ করল গতবারের রানার্স-আপ সিলেট স্ট্রাইকার্স।

শুক্রবার লিগ পর্বের শেষ ও ৪২তম ম্যাচে সিলেট ৬ উইকেটে হারিয়েছে খুলনা টাইগার্সকে। ১২ ম্যাচে ৫ জয় ও ৭ হারে ১০ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের ষষ্ঠস্থানে থেকে বিপিএল শেষ করলো সিলেট।

১২ ম্যাচে সিলেটের মতো ১০ পয়েন্ট থাকলেও, রান রেটে এগিয়ে থাকার সুবাদে পঞ্চমস্থানে থেকে আসর শেষ করলো খুলনা।

আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি থেকে বিপিএলের প্লে-অফ লড়াই শুরু হবে। সাত দলের এই আসরে প্লে-অফ নিশ্চিত করেছে রংপুর রাইডার্স, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স, ফরচুন বরিশাল ও চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।

২৬ ফেব্রুয়ারি এলিমিনেটর ম্যাচে লড়বে বরিশাল ও চট্টগ্রাম এবং প্রথম কোয়ালিফাইয়ারে খেলবে রংপুর এবং কুমিল্লা।

মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে সিলেটের বিপক্ষে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ২৫ রানে প্রথম উইকেট হারায় খুলনা। ২টি চারে ১০ রান করে সিলেটের পেসার শফিকুল ইসলামের দারুন ডেলিভারিতে বোল্ড হন অধিনায়ক এনামুল হক বিজয়।

বিজয়ের পর খুলনার মিডল অর্ডার ব্যাটাররা ব্যর্থ হলেও দলকে সামনের দিকে টেনেছেন ওপেনার আফিফ। ৩১ বলে এবারের আসরে প্রথম হাফ-সেঞ্চুরি তুলে নেন আফিফ।

অর্ধশতকের পর ইনিংস বড় করতে না পারা আফিফ সিলেটের ইংলিশ স্পিনার সামিত প্যাটেলের শিকার হবার আগে ৩টি চার ও ৪টি ছক্কায় ৩৫ বলে ৫২ রান করেন ।

১৩তম ওভারে দলীয় ৮১ রানে চতুর্থ ব্যাটার হিসেবে আফিফ আউট হবার পর বড় সংগ্রহের পথে ধাক্কা খায় খুলনা।

শেষ দিকে দক্ষিণ আফ্রিকার ওয়েন পারনেলের ১৪ বলে ২টি চার ও ১টি ছক্কায় ২১ ও নাহিদুল ইসলামের ২টি চারে ৮ বলে ১১ রানে ৮ উইকেটে ১২৮ রানের মামুলি সংগ্রহ পায় খুলনা। সিলেটের ইংলিশ স্পিনার বেনি হাওয়েল ১৫ রানে ৩টি ও শফিকুল-তানজিম ২টি করে উইকেট নেন।

১২৯ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে দ্বিতীয় ওভারের মধ্যে ৬ রানে ২ উইকেট হারায় সিলেট। ওয়েস্ট ইন্ডিজের কেনার লুইস ৫ ও জাকির হাসান খালি হাতে সাজঘরে ফিরেন।

তৃতীয় উইকেটে ৬১ বলে ৭০ রান যোগ করে শুরুর চাপ কাটিয়ে সিলেটকে লড়াইয়ে ফেরান নাজমুল হোসেন শান্ত ও ইয়াসির আলি। ১২তম ওভারে থামেন ২টি চারে ৩৭ বলে ৩৯ রান করা শান্ত।

এরপর অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুনকে নিয়ে সিলেটের রান ১শ পার করেন ইয়াসির। হাফ-সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগিয়ে ৪৬ রানে বিদায় নেন ৪৩ বল খেলে ৪টি চার ও ২টি ছক্কা মারা ইয়াসির।

দলীয় ১১২ রানে ইয়াসির ফেরার পর ১২ বল বাকী থাকতে সিলেটের জয় নিশ্চিত করেন মিঠুন ও হাওয়েল। ২টি চারে মিঠুন ১৯ এবং ১টি করে চার-ছক্কায় ৫ বলে ১২ রানে অপরাজিত থাকেন হাওয়েল। বল হাতে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হন হাওয়েল।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

GIPHY App Key not set. Please check settings