চোকার্স তকমা ঘুচল না দক্ষিণ আফ্রিকার। আরও একবার বিশ্বকাপ টুর্নামেন্টে ব্যর্থতাই সঙ্গী হলো দলটির।
চলতি বছর ২২ গজে বিশ্ব জয়ের লড়াইয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা যথেষ্ট ভালো লড়াই করেছিল। এমনকি, দুবার তারা ৪০০ রানের চৌকাঠও স্পর্শ করে। কিন্তু, সেই পুরনো অসুখ আবারও প্রোটিয়া ক্রিকেট দলের টুঁটি টিপে ধরল।
বিশ্বকাপ সেমিফাইনালের মতো একটা গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে কার্যত মুখ থুবড়ে পড়ল তেম্বা বাভুমার দল। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে তারা ৩ উইকেটে হেরে গেল। আর সেইসঙ্গে ভারতীয় ক্রিকেট সমর্থকদের চোখের সামনে ২০০৩ সালের স্মৃতি আরও একবার উজ্জ্বল হয়ে উঠল। বিশ্বকাপ ফাইনালে ফের একবার মুখোমুখি ভারত এবং অস্ট্রেলিয়া।

দক্ষিণ আফ্রিকা কার্যত ব্যাটিং ব্যর্থতার কারণেই চলতি বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে হেরে গেল। কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে আয়োজিত এই ম্যাচে প্রোটিয়া অধিনায়ক টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন।
কিন্তু, দক্ষিণ আফ্রিকার টপ অর্ডার এই ম্যাচে কার্যত তাসের ঘরের মতো ভেঙে পরে। অধিনায়ক বাভুমা এই ম্যাচেও রান করতে পারলেন না। তিনি শূন্য রানেই প্যাভিলিয়নে ফিরে যান।
এ ছাড়া কুইন্টন ডি কক (৩), রাসি ভ্যান ডার ডুসেন (৬), এইডেন মারক্রামও (১০) এই ম্যাচে ব্যাট হাতে চূড়ান্ত ফ্লপ করলেন।
যদি শেষবেলায় ডেভিড মিলার শতরান (১১৬ বলে ১০১ রান) না করতেন, তাহলে যে দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোরকার্ড কোথায় গিয়ে দাঁড়াত, তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। শেষপর্যন্ত ২১২ রানেই অলআউট হয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা।
এরপর আসে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাট করার পালা। ট্রাভিস হেড ছাড়া অজি ব্রিগেডের বাকি ব্যাটাররাও যে খুব একটা ভালো পারফরম্যান্স করেছেন, তা কিন্তু একেবারেই বলা যায় না। এই ম্যাচে হেড ৪৮ বলে ৬২ রানের একটি ঝকঝকে ইনিংস অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দল।
মাত্র ৬ ওভারে অস্ট্রেলিয়া ৬০ রান করে ফেলেছিল। কিন্তু, একের পর এক উইকেটের পতন অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলকে কিছুটা হলেও বেকায়দায় ফেলে দিয়েছিল।
তবে স্টিভ স্মিথ খুব বেশি রান করতে না পারলেও শেষবেলায় দলের হালটা ধরে রাখেন। যদিও ৬২ বলে ৩০ রান করে আউট হন তিনি। আর এই গুরুত্বপূর্ণ ইনিংসই অস্ট্রেলিয়াকে ফাইনালে তুলে দিল।
চলতি বিশ্বকাপে ভারতীয় ক্রিকেট দল তাদের প্রথম ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে খেলতে নেমেছিল। এই ম্যাচে টিম ইন্ডিয়া দাপুটে জয়লাভ করে। শুরুর দিকে বেশ কয়েকটা ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া নিষ্প্রভ ছিল।
অনেকেই আশঙ্কা করেছিলেন যে গ্রুপ পর্ব থেকেই অস্ট্রেলিয়া ছিটকে যাবে। কিন্তু, শেষপর্যন্ত তারাই আবার ফাইনাল খেলতে নামবে। বিপক্ষ সেই ভারত। ২০০৩ সালের বদলা নিতে পারবে টিম ইন্ডিয়া? সেটা সময়ই বলবে।
GIPHY App Key not set. Please check settings