in

চমকে দিলেন রুনা খান

দুই দশকের বেশি সময় অভিনয়ে পার করলেও এবারই প্রথম র‍্যাম্পে হাঁটার অভিজ্ঞতা হলো তার। এই অভিনয়শিল্পী ঢাকার তেজগাঁওয়ের আলোকি কনভেনশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত খাদি উৎসবের মঞ্চে শো স্টপার হিসেবে অংশ নিলেন। প্রথমবারের মতো র‍্যাম্পে হেঁটে ভীষণ উচ্ছ্বসিত এই অভিনয়শিল্পী। তিনি রুনা খান

র‍্যাম্পে হাঁটার অভিজ্ঞতা নিয়ে তিনি বলেন, ২০০৪ সালের কথা। তখন পাক্ষিক আনন্দধারায় একটা ফটোশুটে অংশ নিয়েছিলাম। সেই ফটোশুটে দিহান আপু সারা দিন ধরে আহ্লাদ করে বলেছিলেন, তুই র‍্যাম্পে কাজ কর। তোর উচ্চতা, ফিগার—সবই উপযুক্ত। আমার কাছে তখন মনে হয়েছিল, এটা কি আমার কাজ? আমি কি আদৌ পারব?

রুনা খান বলেন, র‍্যাম্প ও অভিনয়—দুটো দুই ধরনের কাজ। আমার যদি শেষ পর্যন্ত কোনোটাই না হয়, সে জন্য আমি আসলে অভিনয়কে বেশি গুরুত্ব দিয়েছি। দিহান আপু এ–ও বলেছিলেন, আর কিচ্ছু না করলেও শুধু বিবি আপার (বিবি রাসেল) সঙ্গে কাজ করতে পারিস। তখন তিনি আমাকে রাজি করাতে পারেননি। কারণ, আমার মনে হয়েছিল, আমি পারব না।

২০০৪ সালে না পারলেও শেষ পর্যন্ত রুনা র‍্যাম্পে হাঁটলেন ২০ বছর পর। নতুন অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করে রুনা বললেন, খাদি ফেস্টিভ্যালে হাঁটলাম। আমাদের দেশি পণ্য, দেশি ঐতিহ্য, বেশির ভাগ ডিজাইনার আমাদের দেশি। মাহিন আপার ডিজাইন করা পোশাকে শো স্টপার হয়ে কাজ করার সুযোগ পেলাম। মনে হয়েছে, এটা আমার জন্য শুধু সুযোগ নয়, সম্মানেরও। আমার সঙ্গে আফরোজা পারভীন আপা (বিউটিশিয়ান) যোগাযোগ করেন। তিনি পুরো ব্যাপার আমাকে বুঝিয়ে বলেন। মাহিন আপাও আমাকে বারবার বলেছিলেন, মডেল হিসেবে তোমাকে দেখতে চাই না, তুমি যা, তা–ই দেখতে চাই। রুনা খানের ব্যক্তিত্ব এখানে দেখতে চাই। তুমি যেভাবে হাঁটো, সেভাবেই হাঁটবে, মডেলদের মতো নয়।” শেষ পর্যন্ত তো আমার দুর্দান্ত অভিজ্ঞতা হয়েছে।

র‍্যাম্পে ছিলেন রুনা খানের একমাত্র মেয়ে রাজেশ্বরী। সে প্রসঙ্গও উঠে এল কথায়। তিনি বললেন, আমার মেয়ে তো ভীষণ খুশি, ভীষণ গর্বিত তার মাকে এভাবে দেখে। এটা আমার জন্যও খুব আবেগের ব্যাপার ছিল। কাজটা এত বেশি উপভোগ করেছি, ভবিষ্যতেও এ রকম সম্মানজনক সুযোগ পেলে আরও করব।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

GIPHY App Key not set. Please check settings