in

গাজায় ওষুধ–পানির ফুরিয়ে যাচ্ছে, নিরাপদ স্থান নেই: জাতিসংঘ

ইসরায়েলের টানা বিমান হামলার মুখে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার কোথাও আর নিরাপদ নয় বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। এমনকি তাদের আশ্রয়কেন্দ্রগুলোও নিরাপত্তাঝুঁকিতে রয়েছে।

জাতিসংঘ বলছে, ইসরায়েলের অবরোধের কারণে উপত্যকাটিতে খাওয়ার পানি, জ্বালানি ও চিকিৎসা সরঞ্জামের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে।

গেল ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের মুক্তি আন্দোলনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ইসরায়েলে হামলা চালায়। জবাবে সেদিনই গাজায় নির্বিচার হামলা শুরু করে ইসরায়েল বাহিনী।

পরদিন উপত্যকাটি পুরোপুরি অবরোধ করা হয়। এতে বন্ধ হয়ে বিদ্যুৎ, গ্যাস, খাবার ও পানির সরবরাহ। এতে করে চরম সংকটে পড়ে গাজাবাসী।

শনিবার জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএর কমিশনার জেনারেল ফিলিপ লাজারিনি বলেছেন, গাজায় সুপেয় পানি ফুরিয়ে যাচ্ছে। মানুষকে বাধ্য হয়ে কুয়ার নোংরা পানি খেতে হচ্ছে। এতে নানা রোগবালাই ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি রয়েছে। সুপেয় পানির জন্য গাজায় জ্বালানি সরবরাহ দরকার।

গাজায় জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসা সহায়তা পাঠানোর আহ্বান জানিয়েছেন ফার্মাকেয়ার গ্রুপের প্রধান নির্বাহী বাসিম খোউরি। তিনি বলেন, গাজার অবস্থা ভয়ানক। সেখানে চিকিৎসা সরঞ্জাম তৈরির যে কয়টি কারাখানা রয়েছে, তার সব কটিই বন্ধ হয়ে গেছে। গাজায় ত্রাণ সহায়তা না এলে বিপর্যয় নেমে আসবে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রধান তেদরোস আধানোম গেব্রেয়াসুস এক্স হ্যান্ডলে (সাবেক টুইটার) বলেছেন, গাজাবাসীকে সহায়তার জন্য চিকিৎসা সরঞ্জাম নিয়ে একটি উড়োজাহাজ মিসরে পৌঁছেছে। অনুমতি পেলেই সেগুলো গাজায় পাঠানো হবে।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এক্স হ্যান্ডলে এক বার্তায় বলেছেন, গাজায় মানবিক সহায়তা পাঠানোর পরিস্থিতি তৈরি করতে ইসরায়েল, মিসর, জর্ডান ও জাতিসংঘের সঙ্গে কাজ করছে তার দেশ।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

GIPHY App Key not set. Please check settings