পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান আজ বলেছেন, উন্নয়ন এবং আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশ গত ১৫ বছরে ‘সোনালী দিন’ পার করেছে।
তিনি বলেন, ‘২০০৯-২০২৩ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগের মেয়াদ ছিল বাংলাদেশের জন্য ‘সোনালী দিন’ কারণ এই সময়ে দেশ গড় আয়ু বৃদ্ধি এবং প্রতিটি ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার পাশাপাশি দেশের জনগণ পদ্মা সেতুর মতো বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের সুফল পেতে শুরু করেছে।’
শনিবার রাজধানীর ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসে শেষ হওয়া দুই দিনব্যাপী তৃতীয় ইস্ট ওয়েস্ট ইকোনমিক্স রিসার্চ কনক্লেভ ২০২৪-এর ‘ড্রাইভার্স অব ইকোনমিক গ্রোথ অব বাংলাদেশ অ্যান্ড দ্য ওয়ে ফরোয়ার্ড’ শীর্ষক সমাপনী অধিবেশনে বক্তৃতায় সাবেক এই পরিকল্পনামন্ত্রী এ কথা বলেন।

ব্যবসা ও অর্থনীতি অনুষদের ডিন অধ্যাপক এ কে এনামুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ও ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির প্রধান উপদেষ্টা ডক্টর মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন এবং ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর আশিক মোসাদ্দিক বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।
বেশ কয়েক বছর ধরে দেশের পরিকল্পনা প্রক্রিয়ার সাথে যুক্ত থাকার অভিজ্ঞতা তুলে ধরে মান্নান বলেন যে এই ১৫ বছরের সময়কালে বাংলাদেশ চলমান ১০০ বছরের ডেল্টা প্ল্যান ছাড়াও কয়েকটি পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা, পরিপ্রেক্ষিত পরিকল্পনার মধ্য দিয়ে গেছে।
এসডিজি অর্জনে দেশের অর্জনের প্রশংসা করে তিনি বলেন, দেশটিও এসডিজি অর্জনে ভালো পারফর্ম করছে, তবে উন্নত দেশগুলোকে এ ক্ষেত্রে সহায়তা প্রদানের প্রতিশ্রুতি পূরণে এগিয়ে আসতে হবে।
বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) বৈশিষ্ট্য প্রসঙ্গে সাবেক পরিকল্পনা মন্ত্রী স্বীকার করেন যে, বাস্তবায়ন পর্যায়ে এখনও সমস্যা রয়েছে যার উন্নতি ঘটানো দরকার।
বৈশ্বিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে বাংলাদেশ চলতি অর্থবছরে ৭ শতাংশের কাছাকাছি জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে সক্ষম হবে বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন বলেন, মানসম্পন্ন নেতৃত্বে দেশ পরিচালিত হলে প্রবৃদ্ধির পাশাপাশি উন্নয়নও টেকসই হয়। ‘সৌভাগ্যবশত আমাদের এখন এমন মানসম্পন্ন নেতৃত্ব রয়েছে’ উল্লেখ করেন তিনি।
দেশের জিডিপিতে নারীদের অবদান অন্তর্ভুক্ত করার ওপর জোর দিয়ে ড. ফরাসউদ্দিন নীতিনির্ধারকদেরকে বাংলাদেশের জিডিপিতে পরিবারের অবদান কীভাবে অন্তর্ভুক্ত করা যায় সে বিষয়ে বিশেষজ্ঞ নিয়োগের আহ্বান জানান।
এদিকে, ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির উদ্যোক্তা উন্নয়ন কেন্দ্র থেকে স্নাতকদের প্রকল্পের পোস্টারও অনুষ্ঠান স্থলে হাইলাইট করা হয়।
ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির অর্থনীতি বিভাগ ১লা ও ২রা মার্চ, ২০২৪ হাইব্রিড মোডে তাদের ৩য় গবেষণা সম্মেলন ‘ইকোনমিক রিসার্চ কনক্লেভ ২০২৪’ আয়োজন করে।
দুই দিনের সম্মেলনে চারটি অধিবেশনে জলবায়ু পরিবর্তন ও অভিযোজন, অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও সমসাময়িক শহুরে সমস্যা, শ্রম ও স্বাস্থ্য অর্থনীতি, অর্থনৈতিক ঝুঁকি ও বহিঃখাতসহ মোট পনেরটি গবেষণাপত্র রয়েছে। ইডব্লিউইউর অংশগ্রহণকারী ছাড়াও বাইরের দেশের অনেক স্কলার ও অনুশীলনকারীরাও সম্মেলনে অংশ নেন।
GIPHY App Key not set. Please check settings