in

আতঙ্কে ঘর ছাড়ছে সীমান্তের মানুষ

মিয়ানমারে ব্যাপক গোলাগুলি, মর্টার শেল হামলা, বোমাবর্ষণসহ সরকারি বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির (এএ) ব্যাপক লড়াইয়ে সীমান্তের বাংলাদেশ অংশের বাসিন্দারা ঘর ছাড়ছেন

ইতোমধ্যে সীমান্তবর্তী নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম এলাকা থেকে বাড়িঘর ছেড়ে অসংখ্য পরিবার নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিয়েছে। অনেকে ছুটছে নিরাপদ গন্তব্যে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজীজ মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টার দিকে বলেন, জেলা প্রশাসনের নির্দেশনায় উত্তর ঘুমধুম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে আশ্রয়কেন্দ্র ঘোষণা করা হয়েছে।

ইতোমধ্যে সেখানে ২৭ পরিবারের প্রায় ১৩০ জন সদস্য আশ্রয় নিয়েছেন। এ ছাড়া অনেকে আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে আছেন। তবে সন্ধ্যার পর থেকে পরিস্থিতি অনেকটা শান্ত দেখা যাচ্ছে বলে জানান চেয়ারম্যান।

জানতে চাইলে বান্দরবান জেলা প্রশাসক শাহ মুজাহিদ উদ্দিন বলেন, আমরা গত তিনদিন ধরে সীমান্তবাসীকে নিরাপদে সরে যাওয়ার অনুরোধ করেছি। কিন্তু অনেকেই চরম ঝুঁকির মুখে থাকলেও ঘরবাড়ি ছেড়ে যেতে চান না। তাই পরিস্থিতি বিবেচনায় ঘুমধুম ইউনিয়নে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারী ২৪০ পরিবারকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

ইতোমধ্যে প্রায় ১৫০ পরিবার আশ্রয়কেন্দ্র ও আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে অবস্থান নিয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এ ইউনিয়নের জলপাইতলী গ্রামে সীমান্তে ঘেঁষে ৪০-৪৫টি পরিবার বসবাস করে। তাদের মধ্যে ৩০টি পরিবার অন্যত্র সরে গেছে। ঘুমধুমের পরিস্থিতি গতকালের চেয়ে আজ একটু ভালো। আমরা আশা করছি, দ্রুত সব ঠিক হয়ে যাবে। আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। সবাইকে আশ্রয়কেন্দ্রে চলে যাওয়ার আহ্বান জানাই।

উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নে আজ মিয়ানমারের ছোড়া গুলিতে একজন আহত হয়েছেন। সেখানে প্রতিনিয়ত গুলি এসে পড়ছে। ফলে স্থানীয়দের মাঝে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে বলে জানান পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গফুর উদ্দিন চৌধুরী। তিনি বলেন, এলাকাবাসীকে বার বার সতর্ক করা হচ্ছে। এবং যারা বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে তাদের নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিতে বলা হচ্ছে।

এদিকে সীমান্ত পার হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির ২৬২ জন সদস্য। এ সংখ্যা বাড়ছে।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

GIPHY App Key not set. Please check settings